করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতে নানামুখী ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার বিষয় তুলে ধরে বিশেষ সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন চিংড়ি খাতের ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের (বিএসএফএফ) কার্যনির্বাহী বোর্ডের জরুরি সভায় চিংড়ি খামার ও হ্যাচারির জন্য এ প্রণোদনার দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চিংড়ি খাতের খামারি ও হ্যাচারিগুলোকে স্বল্প সুদে ঋণ ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজনীয়।”
বিএসএফএফ বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে চিংড়ি খামারি ও হ্যাচারি মালিকরা নানাবিধ ‘গুরুতর সমস্যার’ সম্মুখীন হয়েছেন। এগুলো মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে একদিকে যেমন হ্যাচারি পর্যায়ে পোস্টলার্ভা (পিএল) উৎপাদন ব্যাহত হবে, অন্যদিকে পিএল-এর অভাবে খামার পর্যায়ে উৎপাদন হ্রাস পাবে।
ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে চিংড়ি পোনা উৎপাদন ও বিপণন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চিংড়ি খাদ্য ও প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানি ও বিপণনে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিংড়ি ঘের ও খামারগুলো প্লাবিত হয়ে খামারিরা ‘ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রণোদনার পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে চিংড়ি খাদ্য ও উপকরণ আমদানির আহ্বান জানিয়েছে বিএসএফএফ। আসন্ন বাজেটে চিংড়ি খাত বান্ধব শুল্কনীতি গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।