লিয়াকত হোসেন রাজশাহীঃরাজশাহী মহানগরীর মেহেরচন্ডী এলাকার দায়রা পাকের মোড় নামক স্থানে চলছে অবৈধ পুকুর ভরাটের কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগের পেক্ষিতে, সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ও রাবিস পরিবহন করে শুরু করা হয়েছে পুকুর ভরাটের কাজ।
কে এই পুকুর ভরাট করাচ্ছেন ট্রাক্টর চালকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আলতাফ হোসেন নামে এক শিক্ষক এ পুকুর ভরাট করাচ্ছেন। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে ছুটে আসেন জিয়া নামে এক ব্যক্তি তিনি বলেন এটা আমার দুলাভাইয়ের কাজ যা বলার আমাকে বলুন।
পুকুর ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি পুকুর হলেও আসলে এটা একটি ধানি জমি।
এজন্য আমরা কারো কাছে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনা আমরা নিয়ম মাফিক কাজ করছি আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি করতে পারেন। বাংলাদেশে ২০১০ সাল অনুযায়ী অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া ছাড়া জলাশয় হিসেবে চিহ্নিত জায়গা বা অন্য কোনভাবে শ্রেণী পরিবর্তন করা যায় না।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের রুল জারিসহ পুকুর ভরাটের আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত আছে।
কিভাবে এ পুকুর ভরাট হচ্ছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,এটা আমরা অনেক দিন ধরে পুকুর দেখে আসছি কিন্তু কিভাবে এটা ভরাট হচ্ছে আমরা বলতে পারব না। এ বিষয়ে স্থানীয় ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোয়েলের নিকট মুঠো ফোনে পুকুর ভরাট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পুকুর ভরাট বিষয়ে আমার জানা নায়।
আর পুকুর ভরাট করলেও এটা অনুমতি সাপেক্ষে পুকুর ভরাট করতে পারবেন।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজাম মুনির এর কাছে জানতে চাইলে তিনিও একি কথা বলেন এ পুকুর ভরাটের বিষয়ে আমার জানা নাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী পুকুর ভরাট বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।