মোহাম্মদ আল-আমিন,অনলাইন ডেস্ক: চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রীসহ সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জেলার হাজীগঞ্জে ৫ জন, সদরে ২ জন এবং কচুয়ায় আরো একজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতরা হচ্ছেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড়ের আবুল কাসেম (৫৫), খাটরা বিলওয়াইর সাগর কাজী (৪০), উপজেলার রামপুর গ্রামের হোসেন মল্লিক (৬৫) ও তা স্ত্রী (৫৫) এবং রাজাপুরের সুনীল দেবনাথ (৬০)। এছাড়া চাঁদপুর সদরের মৈশাদী গ্রামের টেলু মিয়া (৪২), ছোটসুন্দরের আবু বক্কর তালুকদার (৭০) এবং কচুয়ার গোহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবদুল হাই মুন্সী (৬০)। এদের সবার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে চাঁদপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা পজেটিভ রোগী চিহ্নিত করতে আগামীকাল বুধবার মাঠে নামবেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এই মঙ্গলবার বিকালে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
সভায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে করোনা পজিটিভ কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এমন রোগীদের বাসাবাড়ি চিহ্নিত করা হবে। এই জন্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে অভিযান চালাবেন, বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এই বিষয় বিস্তারিত তথ্য জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তিনি বলেন, আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাদেরকে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাদের বাসাবাড়ি লকডাউন ঘোষণা করার কারণে অন্যরাও বাইরে যেতে পারবেন না। ফলে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
আজ মঙ্গলবার থেকে নতুন করে লকডাউন চলছে চাঁদপুরে। যদিও গত ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় গোটা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।