সাকিব আলম মামুন,রাঙগামাটি জেলাপ্রতিনিধিঃরাঙগামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। পূর্বে রাংগামাটির লংগদু উপজেলা করোনামুক্ত থাকলেও এখন দিন দিন শোনা যাচ্ছে কেউ না কেউ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষ করে লকডাউন শিথিল করার পর এর ব্যাপকতা অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য দায়ী মানুষের সচেতনতার অভাব।
বিশ্ব প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে যেখানে প্রতিদিন সরকার ও প্রশাসনিক ভাবে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে- সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা, মাস্ক পড়ার জন্য। সেখানে লংগদু উপজেলায় ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু সচেতন নাগরিক সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলাফেরা করলেও অধিকাংশ ব্যক্তিই করোনা ভাইরাসের ভয় এড়িয়ে মাস্কবিহীন, সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাফেরা করছে। যার ফলে লংগদুতে দিন দিন বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি।
বিশেষ করে লংগদু উপজেলার বৃহত্তর মাইনী বাজার, লংগদু বাজার, বাইট্টাপাড়া বাজার ও করল্যাছড়ি বাজার সহ সাপ্তাহিক হাট গুলোতে বিন্দুমাত্র মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
অন্যদিকে লংগদু’র বেশির ভাগ মোটরযান ও অটোরিক্সায় মানছে না প্রশাসনিক নিয়ম কানুন। ফলে করোনার ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে লংগদুতে।
লংগদু উপজেলা প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থানে গিয়েছিল লংগদু উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী। যার পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ছিল লংগদু উপজেলায়। কিন্তু সরকার কর্তৃক লকডাউন শিথিল করার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষ প্রবেশ করছে লংগদুতে এবং প্রবেশ করার পর ১৪ দিন কোয়ারান্টাইন না মেনে অবাধে বাইরে ঘুরাফেরা করছে। ফলে সংক্রমনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লংগদু উপজেলায় এই পর্যন্ত ৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে লংগদু সদরে ৩ জন ও গুলশাখালী ইউনিয়নে ২ জন। তবে মৃত্যুর সংবাদ এখনো শোনা যায় নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সবসময়ই মানুষকে সচেতন করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে, মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজ করছে।
লংগদু উপজেলার সচেতন নাগরিক এবং বিশিষ্টজনদের এখন একটাই প্রত্যাশা- লংগদুতে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য প্রশাসনকে আবারো কঠোর অবস্থানে যেতে হবে, তা না হলে লংগদু উপজেলা হবে করোনার হটস্পট।