মোঃ শাহাদত হোসেন সিরাজগঞ্জ :চৌহালীর যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের শত শত বিঘা জমির বাদাম ডুবে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা পাকা, আধা পাকা বাদাম তুলতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাদাম চাষীদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়। রোববার যমুনার পশ্চিম তীরে এনায়েতপুরে দেখা যায়, পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদাম তুলে নৌকায় করে নদীর পাড়ে রাখা হচ্ছে। সেখানে কৃষক পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্য মিলে বাদাম ছাড়াচ্ছেন। আবার কোথাও কোথাও তারা জমির পাড়ে শুকনা স্থানে বাদাম রোদে শুকাচ্ছে। এতে বাদাম চাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে। এ ব্যাপারে ঘুশুরিয়ার বাদাম চাষী কামরুল ইসলাম ও বাশি মিয়া জানান, যমুনা চরের বেলে মাটিতে বাদামের চাষ ভালো হওয়ায় এ বছর কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। তারা প্রায় ৪২ বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছে। ফলনও ভালো হয়েছিল। তবে যমুনায় দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় ১৬ বিঘা জমির ৮০ মণ বাদাম নষ্ট হয়েছে। এতে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হবে। চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিস ও বাদাম চাষীরা জানান, চৌহালী যমুনা চরাঞ্চলসহ ৭টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়। এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছিল। বাজারেও ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক। কিন্তু বাদামের অনেক জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাষীরা হতাশ। এ বিষয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের যমুনা চরের কৃষক শামছুল মোল্লা, ইকবাল হোসেন ও ইমরান হোসেন জানান, যমুনা চরের দক্ষিণাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হলেও অসময়ে পানি বৃদ্ধির ফলে চরের প্রায় ৩৮ জন কৃষকের বাদাম ক্ষেত তলিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাহহার সিদ্দিকী জানান, যমুনা চরের নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অর্ধশতাধিক বিঘার জমির বাদাম নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্য ইউনিয়ন থেকে বাঘুটিয়াতে বাদামের ফলন অনেক ভালো হয়েছিল বলেও জানান তিনি। চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, যমুনা চরাঞ্চলে এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার কিছু বাদামের জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষক কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানান তিনি।