শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন মিঠাপানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সাথে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও UNFPA-এর নির্বাহী পরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ কালিগঞ্জে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের উদ্বোধনে ইউএনও আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্দোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জামালপুরে জন্ম নেয়া ৪ শিশুর মধ্যে ৩ জনেরই মৃত্যু

বর্তমানে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির বিকল্প নেই।।মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০, ৯.৪২ এএম
  • ২৬৪ বার পঠিত

বতর্মানে বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন শিকার হওয়া যেন কোন ঘটনা নয়। সাংবাদিক নির্যাতন ডাল ভাত। বরং এ প্রবণতা যেন বাড়ছেই। কোনক্রমেই যেন থামছেইনা। বিগত জোট সরকার আমল থেকে শুরু করে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, জুলুম, হয়রানি, লাঞ্ছনা ও আক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এ পেশার অনেকেই। সাংবাদিকদের অনেক সংগঠনের ভীড়ে সারাদেশে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে এমন একটি সংস্থা কেবলই “বিএমএসএফ।

বিএমএসএফ’ র সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, রাষ্ট্র এবং সরকার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে যখন এত উদাসীন, সেখানে সাংবাদিকদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ঘরে-বাইরে, কর্মস্থল, গণপরিবহন- কোথাও নিরাপদ নন গণমাধ্যম কর্মীরা। দেশে গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যাসহ নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। এ ছাড়া নানাভাবে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনের দুর্বলতায় পার পেয়ে যায় সাংবাদিক নির্যাতনের আসামিরা। এ কারণে সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না।বিএমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফর বলে থাকেন শুধু আইন দিয়ে নয়, সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবে সাংবাদিকদের সম্মান ও মর্যাদা সুরক্ষার এ দায়িত্ব শুধু সাংবাদিকদের হতে পারে না। সমাজের সব পক্ষের মানুষকে সমবেতভাবে মানবতার ওপর এই আক্রমণকে রুখতে হবে। দেশে গণমাধ্যম কর্মীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। নিরাপত্তাহীন গণমাধ্যম কর্মীদের জীবনে সহিংসতা নেমে আসছে। নির্যাতন শেষে এদের দমনে হত্যা মামলা দিয়েও হয়রাণী ও নির্যাতন করা হচ্ছে। বাউফলের প্রথম আলোর প্রতিনিধি এবিএম মিজানুন রজমান ও নড়াইলের লোহাগড়ায় মানবজমিন প্রতিনিধি শাহজাহান সাজুকে মার্ডার কেসে আসামি করা হয়েছে। এ ধরনের হয়রাণী বর্তমান সমাজে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।

আমি একজন ক্ষুদ্র কলাম লেখক হিসেবে মনে করি দেশে যদি ব্যক্তি শুদ্ধ না হয়, কখনও এমন বর্বরতা বন্ধ হবে না। মানুষের মধ্যে যদি হিংস্রতা থাকে, বর্বরতা থাকে তাহলে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি নির্যাতন বাড়বেই। বিএমএসএফ’র সদস্যরা বলছে আওয়াজ তুলতে হবে নির্যাতনের বিরুদ্ধে। রুখে দাঁড়ানো ছাড়া পথ নেই। সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন জরুরি।সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে সবাইকে সর্বোচ্চ কঠোর হতে হবে।বতর্মান সমাজে মানবিক বোধ ও চেতনা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।

একটি দেশ বা সমাজে সভ্যতার মাপকাঠি হচ্ছে সেখানে অপরাধের বিচার হচ্ছে কিনা। সাম্প্রতিক কালে অনেকগুলো গণমাধ্যম কর্মী নিগ্রহের ঘটনা ঘটলেও দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে অপরাধীরা ধরা পড়েনি। ধরা পড়লেও তাদের শাস্তি হয়নি। এই বিচারহীনতাই অপরাধীদের উৎসাহিত করছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরতে পারেনি। দেশে আইনানুগ সরকার থাকা সত্ত্বেও দুর্বৃত্তরা মুক্তচিন্তার মানুষকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কী হতে পারে?

সাংবাদিকদের অধিকার আদায় নিয়ে কাজ করছে এমন একটি সংগঠন রয়েছে সেটা হল BMSF। শুধু তথ্য সংগ্রহ করাই কাজ নয়, হামলা মামলার শিকার প্রত্যেক সাংবাদিক কে যথেষ্ট সহায়তা প্রদান করতে হবে। প্রতিটি মানুষকে নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় তথ্য জানাতে হবে।সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতনরোধের জন্য আইন ছাড়াও আমাদের প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই গণমাধ্যম কর্মী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে পারবে। যার মাধ্যমে গণমাধ্যম পাবে সহিংসতার প্রতিকার। গড়ে উঠবে সহিংসতামুক্ত একটি সুন্দর সমাজ।

তাই সাংবাদিকদের প্রতি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সমাজ ও দেশ তথা আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।সাংবাদিকদের হামলা মামলা প্রতিরোধে ও সোচ্চার হতে হবে। সকল সাংবাদিক এক হয়ে কথা বলতে হবে নিজেদের অধিকার আদায়ে। নির্যাতনকারী সমাজের যেই হোক না কেন, জোড়ালো কণ্ঠে কথা বলতে হবে তাদের বিরুদ্ধে। সচেতন হতে হবে নিজেদের প্রকৃত অধিকার প্রসঙ্গে। সচেতন হতে হবে শিক্ষা ও চিন্তায়।সাংবাদিকদের যেকোনো মামলার চূড়ান্ত রায় পেতেও এক যুগেরও বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাহলে প্রত্যেক নির্যাতিত সাংবাদিকদের সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশা করা যে যাচ্ছে না এটাই বোঝা যাচ্ছে।

প্রশ্ন জাগতেই পারে স্বাধীনতার ৫০ বছর এর প্রাক্কালে জাতির পিতার জন্মশর্ত বার্ষিকীর বছর সাংবাদিক নির্যাতন এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা একের পর ঘটেই চলেছে।তাই বাংলাদেশের সব জেলা উপজেলায় সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা এখন সময়ের দাবি। স্বাভাবিক, সুস্থ ও সমতা ভিত্তিক সমাজ বির্নিমাণে সব সাংবাদিক সংস্থা সাংবাদিক সংগঠন কে কাজ করতে হবে। তাহলেই সাংবাদিক নির্যাতনের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ
সম্পাদক
মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
    123
18192021222324
25262728293031
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com