সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাকসা (তাতীপাড়া) গ্রামের দিন মজুর জামাল গাজীর তিন বছরের শিশু সন্তান আব্দুর রহমান অগ্নি দগ্ধ হয়ে উন্নত চিকিৎসার অভাবে পঙ্গুত্বের আশংকায় রয়েছে।
শিশুটির মা রেক্সনা বেগম জানান, দুসপ্তাহ আগে খেলা করতে গিয়ে বাড়ির আঙিনায় ধান সিদ্ধ করা গরম চুলায় পড়ে যায় আব্দুর রহমান। পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা মিলে মারাত্মক জখম অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর গুরুতর অবস্থার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
জেলা সদর হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা নেওয়ার পরে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনা মেডিকেলে রেফার করা হয়। খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর শিশুটি আশংকা মুক্ত হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক পরামর্শ দেন।
শিশুটির দিন মজুর বাবা জামাল গাজী অশ্রুসিক্ত কন্ঠে জানান, ছেলেকে সুস্থ করার জন্য শেষ সম্বল গরু ছাগল বিক্রি ও ধারকর্য করে লক্ষাধিক টাকা ইতিমধ্যে খরচ করেছি। আমার এখন আর সামার্থ নেই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার। ডাক্তার বাবু বলেছেন ছেলেকে ঢাকায় না নিলে ওর দুহাত পঙ্গু হতে পারে।
অবুঝ নিষ্পাপ শিশুটির সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী।