উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী, স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তির সংগ্রামের নেতৃত্বে থাকা রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট নির্মম হত্যাযোগ্যের মধ্যদিয়ে প্রায় বিলুপ্ত সংগঠনটি, এই স্বাধীন বাংলার সর্বোচ্চ নির্যাতিত নিপিড়ীত নিঃসংশতার শিকার হওয়া একটি পরিবারের দুঃখীনি নারী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় প্রান ফিরে পায়।
দেশের স্বাধীনতা বিরোধী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক ও সামরিক শক্তির সকল অপচেষ্টা বাঁধা বিপত্তি কে উপেক্ষা করে মহান আল্লাহর প্রতি অটুট বিশ্বাস রেখে দেশ ও মানুষের কল্যানের ব্রতী নিয়েই জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কে সামগ্রিক উন্নয়নের মধ্যদিয়ে একটি মজবুত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন।
যাহা আজ বিশ্ব সমাদৃত উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করলেও সফলতা ভোগ করছে দল মত জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের জনগণ।
আমি সে বিশ্বাসেই বিশ্বাসী।
কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে,,,, এক দিকে যেমন আওয়ামী সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়নে দেশ যেমন উর্বর হয়ে উঠেছে, তেমনই অন্য দিকে আওয়ামী রাজনীতিতে চরম খরা ও দূর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। যার আসন্ন পরিনতি বড় ভয়ানক এবং ভয়াবহ।
ডায়বেটিস আক্রান্ত শরীর যেমন ক্রমশ বিভিন্ন মরন ব্যাধী আক্রান্ত হতে থাকে, তেমনি রাজনীতির সঠিক আদর্শের বিপরীত কুকর্মে আজ আক্রান্ত আওয়ামী রাজনীতি।
আওয়ামীলীগ’র নীতি আদর্শ, দলীয় গঠনতন্ত্র, ধারাবাহিকতা, নেতৃত্বের নৈতিকতা, কর্মীর মূল্যবোধ, শ্রদ্ধা, স্নেহ, পারষ্পরিক সুসম্পর্ক সবকিছুই আজ ক্ষমতা ও সম্পদের কাছে পশ্চাৎপদ।
রাজনীতিতে প্রবীণ, নিবেদিত, যোগ্য দক্ষরা আজ লাঞ্চিত অবমূল্যায়িত।
স্থানীয় ও তৃনমূল রাজনীতি বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলে অনুপ্রবেশ-কারী,রাজনীতি ব্যাবসায়ী, চাটুকার, রাষ্ট্রবিরোধী, অর্বাচীন, আত্মকেন্দ্রীক ও সম্পদ লোভীদের কতৃত্বেই পরিচালিত।
নেই জবাবদিহিতা, আধিপত্য বিস্তার স্বজনপ্রীতি, কতৃত্ব, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির প্রতিযোগিতায় পরিবর্তীত আজ রাজনীতির প্রকৃত সংঙ্গা।
সংগঠনকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে অনৈতিক ও সার্থ বিজড়িত হীনমন্যতার বাস্তব চিত্রে ঢাকাপড়ছে দলীয় ঐতিহ্য।
আওয়ামীলীগ সহ আওয়ামী অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন গুলিতে পদ পদবী বিক্রয়ের খোলা বাজারে পরিনত হয়েছে।
বিনিময়, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় যুদ্ধাপরাধী, আলবদর, রাজাকার পরিবার, বিএনপি, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি জামাত শিবিরের অনুপ্রবেশে আওয়ামীলীগ হয়ে উঠেছে, সেই স্বাধীনতার পরবর্তী সময় হতে ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্টে হারিয়ে যাওয়া এক একক রাজনৈতিক সংগঠন।
যেখানে, রাষ্ট্র পরিচালনায় অকৃত্রিম কৃতিত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে জননেত্রী শেখ হাসিনার আমরত্ব লাভে রচিত হবে এক নতুন ইতিহাস।
সেখানে, কতিপয় দলীয় অপরাজনীতিকের স্বেচ্ছাচারিতা ও চাটুকারিতায় ঘাতক মোশতাকের অনুসারীদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কালের গহবরে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যের আওয়ামীলীগ। চলমান বাস্তবতা সেই অশুভ সংকেত-এর ইঙ্গিত বহন করে বইকি।
একজন নূন্যতম আওয়ামী কর্মী বা সমর্থক হিসেবে ইহা কখনো কাম্য হতে পারে না।
সুতরাং,,,
মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সবিনয়ে আবেদন,,
অচিরেই দলের অভ্যান্তরে লুকিয়ে থাকা সকল অনুপ্রবেশ-কারী ও অপশক্তি কে বিতাড়িত করে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত সৃষ্টিশীল আওয়ামীলীগ বাস্তবায়নে অগ্রসর হোন।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় হোক আওয়ামীলীগের।
এম এস আই টুটুল
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক