মোঃ মনির হোসেন শাহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি llব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর উপজেলার চাতল পাড়া ইউনিয়নে চলছে মেঘনা ভাঙ্গন। ইতিমধ্যে চক বাজার, বড় বাজার ও বিলের পাড়ের বেশ কয়েকটি বাড়ী-ঘর ও দোকানপাট ভেঙ্গে চলে গেছে মেঘনার পেটে। এখন যেকোনো সময় মেঘনার পেটে চলে যেতে পারে বিলের পাড়ের পাঞ্জেগানা মসজিদটি। তাই মসজিদটির রক্ষায় দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী গ্রামবাসীর। গ্রামের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ৩ বৎসর ধরে ইউনিয়নের শত বছরের পুরোনো চক বাজার ও বিলের পাড় মেঘনার ভাঙ্গনে রয়েছে। ইউনিয়নে পশ্চিমে মেঘনা, তারপর হাওড় এর পশ্চিমে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয়রা জানায় চক বাজার ও বিলের পাড়ের পশ্চিমে জেগে উঠা চড় ও ইট ভাটার কারণে তীব্র ¯্রােতের সৃষ্টি হয়েছে। সেই ¯্রােতের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়ার সংগে সংগে ভারী বর্ষন, ¯্রােত ও ঢেউয়ের ভাঙ্গন শুরু হয়। ইতিমধ্যে চাতলপাড়, চকবাজার ও বিলের পাড়ের মানুষের বাড়ী-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার, মসজিদ, মন্দিরের অস্তিস্থ এখন মেঘনার গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে ২০০৮ সালের মে মাসের দিকে ২০/২৫টি, ২০১৯ সালে ২৫/৩০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, পাড় ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এমন অবস্থা হয়েছে বিলের পাড়ে পাঞ্জেগানা জামে মসজিদটি উত্তর দিকের চারটি খুঁটির নীচের মাটি নদীতে চলে গেছে। ভেতরে ফাটল ধরেছে। ভয়ে কেউ মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে সাহস পাচ্ছে না। গ্রামবাসীর উদ্যোগে ইট ও বালির বস্তা ফেলে মসজিদটি রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ বলেন, ৩ বৎসর ইউনিয়নে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নদী খননের কারণে নদীর উত্তর দিকে মাটি ভরাট হয়ে নতুন চর জেগে উঠেছে। তাছাড়াও উত্তর দিকে একটি ইটভাটা রয়েছে। চড় বাড়ার সাথে সাথে ইট ভাটার পরিমাণও বাড়ছে। এ সমস্ত কারণে ভাঙ্গন আরো বাড়ছে বলে দাবী করেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রঞ্জন কুমার দাস বলেন, ভাঙ্গনরোধে প্রতিরক্ষা বাঁধ এবং চর অবসারনের কাজ করা হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের হস্তক্ষেপে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ১০ লক্ষ টাকার জিওবি ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। আরো ১০ লক্ষ টাকার প্রায় ২২০০টি জিওবি ব্যাগ ২/১ দিনের ভেতরে ফেলানো হবে। তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে ২.২ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২০ কোটি টাকা ও ৮৪০ কিলোমিটার চর অপসারনের জন্য আরো ১০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।