মোঃ এনামুল হক : রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠ আশুলিয়ার ধলপুর থেকে নিজ বাসার পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে গার্মেন্ট শ্রমিক এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ
। এঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আশুলিয়ার ধলপুর হাবুডাঙ্গা হ্যাচারীর মোড় এলাকার একটি পুকুর থেকে পুলিশ ওই নারী পোশাক শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।
নিহত নারী পোশাক শ্রমিক রেবেকা বেগম (২৮) মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মুন্সিকান্দি গ্রামের নবু শেখের মেয়ে।
সে তার মা ও ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার ধলপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি গার্মেন্টে কাজ করত।
নিহতের স্বামী মফিজুলের বাড়ি রংপুর জেলায়।
নিহতের মেয়ে মুন্নী আক্তার জানায়, তার বাবা মফিজুল ইসলাম ঢাকার মিরপুরে থেকে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় লুঙ্গি ও গামছা বিক্রি করতো।
তবে নানী ও সে তার মায়ের কাছে এখানেই থাকত, বাবা মফিজুল ইসলাম মাঝে মধ্যে এখানে আসত। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে বাবা মফিজুলকে মিরপুর থেকে আশুলিয়ায় তাদের বাসায় ডেকে আনে তার মা।
ওই সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে বাবা মফিজুল ইসলাম আবার মিরপুরে চলে যায়।
এরপর শনিবার রাত ৯ টার দিকে তার মা বাবা মফিজুল ইসলামের সাথে দেখা করার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেও আর ফিরে আসেনি। পরে আজ বিকেলে পুলিশ বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার মা’ রেবেকা বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদ হোসেন দৈনিক মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন কে জনান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ধলপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে রেবেকা আক্তার নামে এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।