এম এ এইচ চৌধুরী মিথুন:টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও মধুপুর উপজেলার সীমানায় অবস্থিত গারোবাজারে পুলিশ ফাঁড়ির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।গতকাল শুক্রবার ৩ জুলাই বিকেল ৫টায় দুই উপজেলার সীমানা এবং বাজারের মধ্যবর্তী চৌরাস্তায় উভয় পাশের ব্যবসায়ী এবং সর্বসাধারণের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় দুই পাশের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ উক্ত মানববন্ধনে অংশ নেয়।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,গারোবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,সাংবাদিক সাজ্জাদুর রহমান,মধুপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান শামীম, সোহেল আহমেদ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল বাবুল খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, গারোবাজার (সুনামগঞ্জ) হাঠ ইজারাদার হিসাব আলী, ফরহাদ,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হাই,আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা গারোবাজারে পুলিশ ফাঁড়ির প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য,বিগত কয়েক বছর আগে মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবদুল মোতালেব এবং নব-গঠিত লক্ষিন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একাব্বর আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের জন্য স্থানীয় দোকান মালিক এবং ব্যবসায়ীদের থেকে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা কালেকশন করা হয়।গারোবাজার (সুনামগঞ্জ) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবনকে অস্থায়ী ক্যাম্প হিসাবে ব্যবহার করতে সেখানে গারদ খানা,অস্ত্রাগারসহ দরজা-জানালা লাগানো বাবদ কিছু টাকা খরচ করা হলেও বাকী টাকার হিসাব নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি বর্তমানে আগের নির্মাণ কৃত অস্থায়ী ক্যাম্পের দরজা,জানালা,চৌকি এবং গ্রীল গুলো পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।এমতাবস্থায় গারোবাজারের পার্শবর্তী নেদুর বাজারে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হচ্ছে এমন সংবাদ প্রকাশ হলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।অপরদিকে গত কয়েক বসর আগে যাদের অনুপ্রেরণায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা চাঁদা প্রদান করেছেন তাদের কাউকেই উক্ত মানব বন্ধনে দেখা যায়নি এবং উত্তোলনকৃত টাকারও কোন হিসেব পাওয়া যায়নি।
উত্তোলনকৃত টাকার বিষয়ে অস্থায়ী কোষাধক্ষ্য আঃ সাত্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিগত কয়েক বছর আগে যখন ফাঁড়ির নামে চাঁদা উঠানো হয় তখন স্থানীয় গারোবাজার সোনালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলা হয়ে ছিলো। একাউন্ট খোলার সময় ৫হাজার টাকা জমা রাখা হয়েছিলো।তারপর আর কোন টাকা জমা রাখা হয়নি। একাব্বর আলী চেয়ারম্যান, শেখ রুবেলসহ আরো যারা চাঁদা উঠিয়েছে তারা কোন টাকা আমার কাছে জমা রাখেনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত একাব্বর আলী চেয়ারম্যান এর নিকট মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিক বার জানার চেষ্টা করা হলে তিনি নানা ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।উক্ত মানব বন্ধনে জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় ও দ্রুত একটি লিখিত অভিযোগ এবং গারোবাজার পুলিশ ফাঁড়ির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করা হবে বলেও জানানো হয়।