সাংবাদিকরাই খারাপ! কি দরকার তোদের? এইসব নিয়ে ঘাটাঘাটি আর লেখালেখির কি প্রয়োজন? ব্রীজ কালভার্টে ঠিকাদার-প্রশাসন-জনপ্রতিনিধিরা মিলে রডের বদলে বাশ সয় কলাগাছ দিক। তাকে তোদের কি?
রডের পরিবর্তে টুনি নয় ইটের বদলে কাদামাটি দিক। সিমেন্টের বদলে চুলার ছাই দিক। দশ কোটি টাকার কাজ ১ কোটিতে করুক, করতে দিন। দেশে যখন একহালি ডিমের দাম ৩২শ টাকা, দুইপিস রুটির দাম ২ হাজার, একটি কলা গাছের দাম কত লাখ জাতি জেনে গেছে।
এইসব চোরের প্রধান টার্গেট আজকাল কেবল শুধুই সাংবাদিক। চোরচক্র রাষ্ট্রের সম্পদ লুটেপুটে গিলে খাচ্ছে। আর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিবেকের তাড়নায় পাহারা দিচ্ছেন। এটাই কেবল দোষ।
আজকাল কিছু প্রশাসন রাষ্ট্রযন্ত্র, রাজনৈতিক এবং চোরচক্রের প্রধান টার্গেট সাংবাদিক। তাইতো সাংবাদিকরা রক্তাক্ত, মামলা+হামলা, লাঞ্ছিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবুও সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে।
চিত্রটি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি প্রকল্পের কাজের নমুনা। এভাবেই চলছে সরকারের বেশিরভাগ উন্নয়ন প্রকল্প। চিত্রে কাজ তদারকিতে দুজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেও দেখা যাচ্ছে। দেখা যাক কি তাড়ায়া!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিন। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়ন করুন। সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ সম্পন্নের নির্দেশ দিন। জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ১৪ দফা দাবি মেনে নিন।
সাংবাদিকদের সমস্যা নিরসনে শুধু ঢাকাইয়া সাংবাদিক এবং সংগঠন নয়। ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কথাগুলো শোনা উচিত।
আহমেদ আবু জাফর, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, ০১৭১২৩০৬৫০১। ৬ জুলাই ২০২০ খ্রী:।