মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাদী:হোয়াইক্যংয়ে পুলিশ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে পেশাদার অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের ৩জন সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, ইয়াবা ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার দূধর্ষ ত্রাস সাদ্দাম নিহতের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এলাকাবাসী।
সুত্র জানায়, ৭জুলাই (মঙ্গলবার) ভোররাতের দিকে টেকনাফ টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের ক্রাইমজোনে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ অস্ত্রধারী এবং মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাশ ও এমরান হোসেন আহত হয়। পুলিশ ও আত্মরক্ষার স্বার্থে বেশ কিছুক্ষণ থেমে থেমে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে উক্ত এলাকা তল্লাশী করে ইয়াবা, অস্ত্র ও কার্তুজসহ হ্নীলা মৌলভী বাজারের মৃত সোলতান আহমদ ওরফে চামড়া বাদশাহর পুত্র, অর্ধ ডজন মামলার আসামী সাদ্দাম হোসেন (২০) এবং হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত হাজী আলী আহমদের পুত্র আব্দুল জলিল ওরফে গুরা পুতুইক্কা (৩০) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
আহত পুলিশ সদস্য এবং অস্ত্রধারী ও গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের দ্রত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযানের ব্যাপারে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
এদিকে পুলিশী অভিযানে মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্রধারী দূধর্ষ সাদ্দাম মারা যাওয়ার খবরে তার হামলা, হুমকি-ধমকি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন আবার অনেককে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা গেছে। এই সন্ত্রাসী সাদ্দামের কথায় কথায় লোকজনের উপর ছুরিকাঘাত এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কারণে হ্নীলা, বৃহত্তর মহেশখালীয়া পাড়া ও কম্বনের মানুষ চরম আতংক এবং উদ্বেগের মধ্যে দিন-যাপন করে আসছিল বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। বন্দুক যুদ্ধের মাধ্যমে এই অঞ্চলে সাদ্দাম যুগের অবসান হওয়ায় লোকজনকে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।