পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমাদের সমাজের বিত্তশালীদের মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে এদেশের অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতা করার মনমানসিকতা থাকা উচিত। তিনি এদেশের প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বি করতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আজ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা কালেক্টরেট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিনামূল্যে ৫০টি হুইলচেয়ার ও প্রতিবন্ধী সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিবন্ধী ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টাকে নেচে ও মনোমুগ্ধকর গান পরিবেশনের মাধ্যমে বরণ করে নেয়। উপদেষ্টা নিজ উদ্যোগে এসব হাসিখুশি শিশুদের মাঝে মিষ্টি, চকোলেট ও কেক বিতরণ করেন। এছাড়া প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের আয়বর্ধনের জন্য সঞ্চিত সঞ্চয়পত্রের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবেন বলে সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা পরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন চারতলা ভবন উদবোধন করেন। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, খাগড়াছড়ি আমাদের সকলের জন্য। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান, সদস্য সবাই একসংগে জনকল্যাণে কাজ করবেন। তিনি সুন্দর এ অবকাঠামোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সংস্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা ঐদিন বিকালে খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ ভবন পরিদর্শনকালে সেখানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের মূল বেইজ হলো শিক্ষাক্ষেত্রে কোয়ালিটি এডুকেশন, কৃষিক্ষেত্রে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট এবং সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশের উন্নয়ন ঘটানো। সর্বোপরি রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাজে প্রত্যেকের বেসিক ফাউন্ডেশন গড়ে তোলাই হলো মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ইংরেজি শিক্ষার ভিত আরো মজবুত করতে বিজ্ঞান, গণিত ও ইংরেজি বিষয় ইংলিশ কারিকুলারে পড়াশুনার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হবে। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সকল চাহিদা পূরণে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টার সহধর্মিণী মিজ নন্দিতা খীসা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (উপদেষ্টার একান্ত সচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব (উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শুভাশিস চাকমা, খাগড়ছড়ি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পুলক বরণ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুব আলম, সদস্য এডভোকেট মঞ্জিলা সুলতানা, খাগড়াছড়ি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মারজিয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।