ঢাকা: গতকাল ১১ জুলাই দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সারাদেশে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আর্থিক প্রনোদনার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় ৬৫ হাজার নার্সারি, প্রিপারেটরী, প্রি-ক্যাডেট ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সকল কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ১ কোটির অধিক শিশু-কিশোর শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানে ১৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী কর্মরত আছেন, যার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের পরিবারবর্গ। করোনা পস্থিতির কারনে সরকারী নির্দেশনায় এই সকল স্কুল দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিকভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এছাড়াও কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রাইভেট টিউশনও করতে পারছে না।
প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত। মাসের প্রথমেই পরিশোধ করতে হয় বাড়িভাড়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মচারীর বেতন, অন্যান্য বিলসহ বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ বিল। দীর্ঘ চার মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠানের কোন আয় না থাকায় বাড়িভাড়া, বেতন, বিল কোনো কিছুই পরিশোধ করতে পারছেনা। এ অবস্থায় চলতে থাকলে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই প্রায় ৫০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, এতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়বে। অনেক শিক্ষক ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে দিনমজুরের কাজ, রিক্সা চালানোসহ বিভিন্ন কাজ করছে, এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক বিষয়।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় ও সরকারের নিকট বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ (বিকপ) এর আকুল আবেদন, উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে প্রনোদনা বা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা অথবা সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা জন্য নির্দেশ প্রদান করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার সুযোগ প্রদান করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করতে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা।
উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টে ঐক্য পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।