চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম কতৃক পৃথক অভিযানে ৭১ পিচ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ট্যাপেনটাডল ট্যাবলেট এবং ৪২ টি চোরাই মোবাইল সহ মাদক ব্যাবসায়ি ৫ জন কে আটক করে পুলিশ। ট্যাপেন্টাডল বা টাপেন্টা জাতীয় ঔষধ সংগোপনে দোকানে রেখে দেদারছে প্রেসক্রিপশন ব্যতীত তরুণ যুবকদের মাঝে বিক্রয়ের চেষ্টাকালে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাননীয় পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান এর নেতৃত্বে চুয়াডাংগা সদর ফাঁড়ি পুলিশের টি এস আই ওহিদুল ইসলাম সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচলনাকালে গতকাল ১৮জুলাই রাত ১০ টার সময় চুয়াডাংগা পৌরসভাধীন রেলপাড়া বাজারস্থ আসামী সুরুজ ফার্মেসী দোকানের সামনে এবং দোকানের মধ্য হতে বড় মসজিদপাড়ার -মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মোঃ মনির হোসেন(৫০),সাতগাড়ী গ্রামের মোঃ রবিউল হকের ছেলে আকাশ(২৫),জাফরপুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ স্বপন(১৮), মোমিনপুর গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান(২৫), ও লালুর ছেলে মনিরুল ইসলাম(২০), সকলে থানা ও জেলা চুয়াডাঙ্গা। আসামি মোট ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয় এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের দখল হইতে ৭১ পিচ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ট্যাপেনটাডল ট্যাবলেট এবং ৪২ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে এবং চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আসামি মনির’এর বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা রুজু হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে ইতিপূর্বে বাজারে প্রচলিত বহুল আলোচিত-সমালোচিত ড্রাগ ট্যাপেন্টাডল বা ট্যাপেন্টা জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ দেদারছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা হত বা এখনো হচ্ছে। গত ৯ ই জুন ২০২০ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওষুধটি ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ বিধির অধীনে নিষিদ্ধ করে একই আইনের “খ”শ্রেণীর মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ড্রাগ টি তরুণ বা যুবকদের কেউ ইয়াবার মত কেউ বা কফ সিরাপ এর সাথে মিশিয়ে ফেনসিডিল এর মত নেশা করে আসছে। এটা কোন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। ওষুধটি এখন নিষিদ্ধ ড্রাগ এর অন্তর্ভুক্ত হাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে সরাসরি এই ট্রাকটির ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত পাচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিক্রেতা মনিরের দখল থেকে চোরাই ৪২ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এতে প্রতীয়মান হয় এরা আরো বেশকিছু অপরাধের সাথে জড়িত। একটা বড় ধরনের সিন্ডিকেটের সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে মর্মে বেশকিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল ওষুধ ব্যবসায়ীদের এই গ্রেফতারের খবরটি গভীরভাবে পড়ার জন্য অনুরোধ রেখে সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় কঠোরভাবে সতর্ক করা হলো। ভবিষ্যতে অভিযানের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। মোদ্দাকথা, মাদক নির্মূলে আইন সর্বোচ্চটুকু প্রয়োগ করা হবে।