বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যেগে বৃক্ষরোপণ যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু অভিঘাত মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রায় কাজ করছে সরকার – পরিবেশ সচিব মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে …বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী নানক আজ থেকে ঢাকায় শুরু হল এশিয়া- প্যাসিফিক বধির দাবা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ “””””””””””””””” উদ্বোধন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ট্রাক ড্রাইভার আল আমিন হত্যাকান্ড: বাউফলে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাইকৃত রড উদ্ধার, আটক-৪ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকক পৌঁছেছেন পটুয়াখালীর দশমিনায় ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে পুকুরে পড়ে যায় এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা

নড়াইলের মধুমতি নদী ভাঙনে দিশেহারা ইতনা ইউনিয়নের ৪ গ্রামের মানুষ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০, ৩.৩০ পিএম
  • ২৯৫ বার পঠিত
নড়াইলের মধুমতি নদী ভাঙনে দিশেহারা  ইতনা ইউনিয়নের ৪ গ্রামের মানুষবচরসুচাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বাঁচানোর আকুতি গ্রামবাসীর!!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ ১১০ বছরের এই বয়োবৃদ্ধ নারী কানে একটু কম শুনতে পেলেও চোখে দেখেন ঠিকই। তাই এ এলাকার দীর্ঘদিনের নদী ভাঙনের দুঃখ-দুর্দশার জীবন্ত স্বাক্ষী তিনি। মধুমতি নদী ভাঙতে ভাঙতে এবার বয়োবৃদ্ধ এই নারীর খুপড়ি ঘরের কাছেই হানা দিয়েছে। শেষ সম্বল ভিটেমাটিটুকু হারানোর শংকায় চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই তার। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরপরাণপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ অজিরন নেসার (১১০) মতো এ এলাকার শতাধিক মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
ইতনা ইউনিয়নের পীরচরসুচাইল গ্রামের শেখ আব্দুল মান্নান বলেন, এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষক ও শ্রমজীবী। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মধুমতি নদী ভাঙনে দিশেহারা আমরা। চরসুচাইল, চরপাঁচাইল, চরপরাণপুর ও চরঘোণাপাড়ার লোকজন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে স্কুলের এক একর ১০ শতক মাঠ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনো সুফল মেলেনি।
চরসুচাইল গ্রামের আশরাফ শেখ, আজিজুর রহমান, কুলসুম বেগম, মালেকা বেগম, সোহেল মুন্সী ও রাজিবসহ ভূক্তভোগীরা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে এ এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলেও প্রতিরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া চরসুচাইলসহ চারটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, হাজারো গাছপালা ও কৃষি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চরসুচাইল গ্রামের আরুক মুন্সী বলেন, এপারে নড়াইল জেলা; ওপারে গোপালগঞ্জ জেলা। বর্তমানে নড়াইলের ইতনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরসুচাইল, চরপাঁচাইল, চরপরাণপুর ও চরঘোণাপাড়ার মানুষ নদী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকে একাধিকবার বাড়িঘর, কৃষি জমি, গাছপালাসহ সহায়-সম্বল হারিয়েছেন। ভাঙনরোধে দ্রুত কাজ না করলে বাড়িঘর হারিয়ে অনেকের ঠাঁই রাস্তায় হবে।
চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সী কামরুজ্জামান বলেন, ১০ বছর আগে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। প্রথম দিকে ২০০ ছাত্রছাত্রী পেলেও নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১০জন। স্কুল মাঠটিও নেই, এক বছর আগে নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন টিনশেডের পাঁকাঘরটির কাছেই ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন থেকে মাত্র ১০ ফুট দুরে আছে স্কুলঘরটি। আমাদের দাবি, মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি মহোদয় যেন স্কুলটি রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এ পরিস্থিতিতে স্কুলঘরটির পাশেই গাছপালা কেটে বাঁশ ও টিন দিয়ে ছোট একটি ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। করোনাসংকট পরবর্তী সময়ে স্কুল খুললে যাতে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করতে পারে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নড়াইলের কর্মকর্তারা জানান, চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এ এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে গত বছর একটি প্রকল্প দাখিল করা হলে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। যা দিয়ে ১৭০ মিটার কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হলেও ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো না। তাই পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে মধুমতি নদীর অতিকূল ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পের আওতায় এলাকাটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এখানে ৬০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রস্তাব অনুযায়ী ৮ কোটি টাকা প্রয়োজন। আশা করা যাচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন হতে পারে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com