বসিরহাটের মানুষের সুবিধার্থে ভবিষ্যতে আরও একাধিক প্রকল্পের পরিকল্পনা সাংসদ অভিনেত্রীর।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিজস্ব সংসদীয় এলাকা বসিরহাট জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এমন করোনার আবহে স্বাধীনতা দিবসেও সাংসদের কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন অভিনেত্রী। আর এদিনই বসিরহাটের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে বিশুদ্ধ পাণীয় জলের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশেষ ধরনের ওয়াটার জেনারেটর বসানোর উদ্যোগ নিলেন তিনি।
সাংসদ হওয়ার পর প্রথম অধিবেশনেই বসিরহাটের পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছিল নুসরত জাহানের গলায়। এলাকায় উন্নত মানের পঠন পাঠনের জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। নতুন শিক্ষাবর্ষে সেই দাবি পূরণ না হলেও এবার নিজস্ব সাংসদ তহবিল থেকেই বসিরহাট কেন্দ্রের একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুজলা প্রজেক্ট-এর সূচনা করলেন সাংসদ অভিনেত্রী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই বিশেষ ধরনের ওয়াটার জেনারেটর বাতাস থেকে আর্দ্রতা টেনে জলকণাকে জমিয়ে পাণীয় জল উৎপাদন করে। এপ্রসঙ্গে সাংসদ জানান, ভবিষ্যতে এধরনের আরও নতুন প্রকল্প আনতে চাই বসিরহাটের মানুষের সুবিধার্থে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড খোলার ঘোষণা করেছিলেন সাংসদ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকেও বসেন নুসরত।
উল্লেখ্য, সাংসদ হয়ে প্রথম অধিবেশনে মন্তব্য রাখতে গিয়েই নিজস্ব সংসদীয় এলাকার বিদ্যার্থীদের জন্য স্কুল গড়ার আবেদন জানিয়েছিলেন নুসরত জাহান। তাঁর কথায়, ওরাই আগামীর দূত। তাই পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের জন্য উন্নতমানের স্কুলের আরজি জানিয়ে সংসদ অধিবেশনে বলেছিলেন, ‘‘বসিরহাটে একটিও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নেই। এটি সীমান্ত এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বহু বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মচারীরা এখানে থাকেন। তাঁদের ছেলেমেয়েদের যাওয়ার মতো কোনও স্কুল নেই।’’ উপরন্তু, এলাকার দারিদ্র সীমার নিচে থাকা পরিবারগুলিও অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারি স্কুলে বাচ্চাদের পাঠাতে পারে না। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থাকলে সেই সমস্যার সমাধান হবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই একটি স্কুল গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন নুসরত।
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন