চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সুবলপুর গ্রামে খলিলের হাঁসুয়ার এলোপাতাড়ী কোপে আওয়াল ও তার স্ত্রী মুমূর্ষু অবস্থায় জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি হয়। সুবলপুর গ্রামের মোঃ বাবুর আলী মন্ডলের মেজো ছেলে খলিল নিজ গ্রামে প্রায়ই তান্ডব চালায়। যার তার ধরে মারধর করে অনেকেই তার ভয়ে কিছু বলতে পারে না। উল্লেখ্য যে গত কাল (২৮ আগষ্ট) রোজ শুক্রবার সুবলপুর গ্রামের শুকুর তরফদারের ছেলে শহিদুল ইসলামের নিজের বাড়িতে অনুষ্ঠানের জন্য গরুর মাংস নেওয়ার উদ্দেশ্য আওয়ালের কাছে আসে, আওয়াল এবং খলিল মাঝের পাড়ার আলীর দোকানের সামনে থাকায় শহিদুল ইসলাম সেখানেই আওয়ালের সাথে মাংসের দাম দর করে, আওয়াল গরুর মাংস ৪০০ (চারশত) টাকা কেজি দরে দিতে চাই, একই জায়গাই খলিল ৪৫০(চারশত পঞ্চাশ) টাকা কেজি দিতে চাই। শহিদুল গরিব মানুষ যেখানে কম দাম পাবে সেখান থেকে কিনবে।
সেই হিসাবে আওয়ালের কাছ থেকে মাংস নিতে চাই।এরই জের ধরে আদ্য (২৯ আগষ্ট) শনিবার সকাল ৯ টার দিকে খলিল এবং তার ছেলে মটরসাইকেল যোগে ব্যগের ভিতরে হাঁসুয়া নিয়ে আওয়ালের মারার উদ্দেশ্য আসে। আওয়াল সুবলপুর পূর্বপাড়ার মতেহারের দোকানের সামনে দাড়িয়ে ছিলো।এমন সময় খলিল পিছন থেকে এসেই এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে, এ মতো অবস্থায় আওয়ালের স্ত্রী ঠেকাতে আসায় তাকেও কোপাতে থাকে। লোকজন আসার আগেই খলিল মটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে, তামিম, সামসুল হুদা,আলিম,আরো অনেকের জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলেন,সুবলপুর গ্রামটা অনেক ভাল ছিলো,কিন্ত খলিলের তান্ডবে গ্রামের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
গ্রামের লোকজন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এদিকে আওয়াল ও তার স্ত্রীকে সাথে সাথে জীবন নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। আওয়ালের দুই জায়গাই বারোটি সেলাই ও আওয়ালের স্ত্রীর এক জায়গাই চৌদ্দটি সেলাই দিয়েছে। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,হাতে লেখার একটি অভিযোগ পেয়েছি কিন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ অসামাপ্ত রয়েছে।