খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারী ভাবে জয়লাভ করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন( ৯০৩২) ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান মেয়র মো. রফিকুল আলম মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন (৮৭৪৯) ভোট।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম খলিল ধানের শীর্ষ প্রতীকে পেয়েছেন(৪৩০৮)ভোট এবং জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মো. ফিরোজ আহমেদ পেয়েছেন ১৮৪ ভোট।
৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ নেতা অতীশ চাকমা (দ্বিতীয়বার) আগেই বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হন। এছাড়া ২নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা মানিক পাটোয়ারী, ৩নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা শাহ আলম (দ্বিতীয়বার), ৪নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্ছুমনি চাকমা, ৫নং ওয়ার্ডে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি মো: আব্দুল মজিদ (দ্বিতীয়বার), ৬নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা মংরে মারমা (দ্বিতীয়বার), ৮নং ওয়ার্ডে পৌর আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক পরিমল কর্মকার (দ্বিতীয়বার) এবং ৯নং ওয়ার্ডে পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।
সংরক্ষিত তিনটি মহিলা কাউন্সিলর পদে শাহিদা আক্তার, উক্রাঞো মারমা নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় এবারে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৮৭জন। এর মধ্য পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৩৫১ জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭৩৬ জন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন,সকাল থেকে ১৮ টি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তায় ইভিএম এ ভোট গ্রহন করা হয় এবং ৪ টায় শেষ হয়। চার স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা ছিল পৌরশহর। পুলিশ, আনসার, বিজিপি ও স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে থাকায় কোন প্রকার সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুস্থ ও সুন্দর ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।