পৃথিবীর বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন কে বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ। আজ পশ্চিম বাংলার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চ এর প্রধান বিচারপতি শ্রী অনিরুদ্ধ রায় জানিয়েছেন যে যে কোন মূল্যে সুন্দর বন এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ বাঁচাতে অবিলম্বে মানুষ ও জলযান নিয়ে গভীর সুন্দর বন এ প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং তা যথারীতি পালন করছে কি না তা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর জেলা পুলিশ ও সুন্দর বন জেলা পুলিশ এবং জেলার ডি এম কে রিপোর্ট দিতে হবে পশ্চিম বাংলার বন দপ্তর কে। রাজ্যে র মুখ্য বনপাল শ্রী বিনোদ কুমার যাদব তা মনিটরিং করে কলকাতা মহামান্য হাইকোর্ট এর নজরে আনবে।যে কোন পরিস্থিতি তে এবং যে কোন মূল্যে এই সুন্দর বন কে রক্ষা করতে হবে সকলকে।এর ফলে কয়েক লক্ষ মানুষ এর রুটি রুজি রোজগারের টান পড়বে। কারণ সুন্দর বন এলাকার উপর নির্ভর করে পর্যটন শিল্প ও মধু ভাঙতে যাওয়া মানুষ ও গভীর সুন্দর বন এলাকার মধ্যে নদী ও নালা তে মাছ ধরতে যাওয়া ধীবর দের ভীষণ ভাবে অথনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এবং সুন্দর বন এলাকার নদী ও নালা তে চিংড়ি মাছ ও কাঁকড়া ধরতে যাওয়া মানুষ জন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।এই সব মানুষ জন জীবনে ঝুঁকি নিয়ে সুন্দর বন এলাকায় নদীর তীরে মাছ ও চিংড়ি এবং কাঁকড়া এবং মধু ভাঙতে যায়। কিন্তু সুন্দর বন কে বাঁচাতে সবধরনের ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া তে অসুবিধা পড়েছে এই এলাকার বিভিন্ন যায়গার বাসিন্দারা। পশ্চিম বাংলার সাবেক সুন্দর বন উন্নয়ন দপ্তর মন্তী শ্রী কান্তি গাঙ্গুলি ও বর্তমান সুন্দর বন উন্নয়ন দপ্তর মন্তী শ্রী মন্টু রাম পাকিরা জানিয়েছেন হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে অসহায় সুন্দর বন এলাকার মানুষের জীবিকার টান না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে সুন্দর বন এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন ফিরে আনতে বদ্ধপরিকর সরকার।তারা স্হানীয় প্রশাসন ও মানুষের কাছে অনুরোধ রাখবেন যাতে করে পৃথিবীর এই বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দর বন বাঁচতে পারে।সবাই কে এগিয়ে আসতে হবে।। ভারত এর কলকাতা শহর থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।