সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
বাণিজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে চীন বাংলাদেশের বড় অগ্রাধিকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খাদ্য উপদেষ্টার সাথে রাশিয়ান ফেডারেশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (Acting Ambassador) এর সৌজন্য সাক্ষাৎ জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আত্নমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে — নাহিদ ইসলাম ‘‘কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়’’-আইজিপি গাজীপুরের সফিপুরে সৌদি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ওয়ামির উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স উদ্বোধন কালিগঞ্জে ইকরা তা’লীমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসায় সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৩৪৭বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: সংস্কার কমিশন সদস্য তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই-পার্বত্য উপদেষ্টা

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।।মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১, ১.০১ এএম
  • ২২৪ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আমি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী  রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত মুজিব চিরন্তন শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে একথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিশেষ সম্মানিত অতিথি ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমন একটি অঞ্চলে বাসবাস করি যা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশগুলো যেমন ভূমিকম্প, ক্লাউড ব্রাস্ট, বরফ ধস, ভূমিধস, ফ্লাস ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ, তেমনি বাংলাদেশের মত সাগর-উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহ বারবার বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টি বা খরার মত দুর্যোগের সম্মুখীন হয়।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন আমাদের এ উপমহাদেশের দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি নাজুক করে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের অবদান না থাকলেও আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা অভিযোজনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে নিজেদের রক্ষা করতে পারি, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা বন্ধ করা না গেলে অভিযোজন প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বিশ^ নেতৃবৃন্দের মধ্যে তৃতীয় যিনি সরাসরি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাঁর কন্যা ঊষা কিরণ ভান্ডারিও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এরআগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সলিহ এবং তাঁর সহধর্মিনী ফাজনা আহমেদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজা পাকসে তৃতীয় দিন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দিন টি ছিল অনুষ্ঠানের ৬ষ্ঠ দিন। ১০দিন ব্যাপী (১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ) মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানমালায় আজকের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’।

শিক্ষা মন্ত্রী ডা.দিপু মনি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন এবং বিশিষ্ট সাহিত্যিক সেলিনা হেসেন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
১০দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় যোগদানের জন্য আগামীকাল ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম বা সিভিএফ-এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব নেতৃত্বকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছে। গত বছর ঢাকায় গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন, বাংলাদেশ অফিস চালু করা হয়েছে। ঢাকা অফিস দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে।

তিনি নেপালের প্রেসিডেন্ট জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগদান করায় তাঁর নিজের এবং জনগণের পক্ষ থেকে তাঁকে এবং নেপালের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

নেপাল আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন নেপাল সরকার এবং সেখানকার জনগণ নানাভাবে স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন।

তিনি বলেন, যেসব দেশ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে সর্বাগ্রে স্বীকৃতি দিয়েছিল, নেপাল তার অন্যতম। ১৯৭২ সালে জানুয়ারি মাসে নেপাল বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নেপালের জনগণের সে অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করি। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা ২০১২ এবং ২০১৩ সালে নেপালের ১১ জন নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ সম্মাননায় ভূষিত করি।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও নেপাল এই দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের মধ্যে ভৌগোলিক নৈকট্য ছাড়াও আমাদের রয়েছে প্রায় একই ধরণের ইতিহাস। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান প্রায় এক এবং অভিন্ন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বিশেষ করে পানি-বিদ্যুৎ খাত, পর্যটন এবং পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সহযোগিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিবিআইএন (বাংলাদেশ,ভূটান, ভারত, নেপাল) চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এরফলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। নেপালকে আমরা আমাদের সৈয়দপুর আঞ্চলিক বিমানবন্দর এবং মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সব সময়ই শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সোচ্চার। জাতির পিতা চেয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

সকলের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যায়।

তিনি বলেন, বিগত ১২ বছরে আমরা জাতির পিতার দেখানো পথ ধরেই হাঁটছি। আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। গত মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র নেপালও একইসঙ্গে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমি নেপালের সরকার এবং জনগণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দক্ষিণ এশিয়ার এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও অর্ধাহারে বা না খেয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যায়। অনেকে জীবন ধারণের ন্যুনতম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেই সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করে এ অঞ্চলের মানুষের দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব।’ ‘একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এ অঞ্চলকে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস আমরা অব্যাহত রাখব,’ যোগ করেন তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
23242526272829
30      
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com