জাপানে অতি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও ৫৮ জনের বেশি মানুষ। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে ৭ জুলাই শনিবার দেশটিতে বন্যায় ৬০ জন প্রাণ হারানোর কথা জানা গিয়েছিল। কিন্তু রাতারাতি এই সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, আকস্মিক বন্যার কারণে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৫০ লাখের বেশি মানুষকে। বন্যা উপদ্রুত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া এবং নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে দেশের কয়েক হাজার পুলিশ, সেনা ও দমকলকর্মী।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে দেশটির কুরাশিকি শহরের ১ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে হাসপাতালে আটকা পড়েছে শতাধিক মানুষ। জাপানে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিরোশিমা অঞ্চলটি। এখানে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ জন। তবে নিহতদের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সেখানকার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এই রাজ্যে বেশ কিছু ঘরবাড়িও ধ্বংস হয়েছে। বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে বিধ্বস্ত বাড়ির নিচে চাপা পড়ে।
বন্যা ও ভূমিধসে এত বেশি সংখ্যক প্রাণনাশের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, নিহতদের অনেকেই স্থানীয় প্রশাসনের সতর্কতা মেনে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় না নিয়ে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিল। ফলে ভূমিধস ও বন্যায় তাদের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, জাপানে গত বৃহস্পতিবার ৫ জুলাই থেকে একটানা প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রোববারও দেশটিতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে।