ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড নবীনগর মৌজার সাবেক ১৩৪ হালে ৯৮নং ৫৬২ ও ১৭৬নং খতিয়ান এস.এ ৭৪৮, ৩১৪নং খতিয়ান, বিএস ২৮৭নং খতিয়ান ও ৫৮০৭নং খারিজ খতিয়ান ভুক্ত জমি যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এই দেড় কোটি টাকার জমির মালিকানা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। এবিষয়ে জমির বর্তমান মালিক দাবি করে শিপ্রা বিশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন করলে আজ বুধবার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নির্দেশক্রমে নামজারি ও জমাখারিজ আপিল মোকদ্দমা নং- ১৬/২০২০ এবং ২৭৪৯/১৯-২০ ভুক্ত ভূমির বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তে যান উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হাসান।
সরেজমিনে জানা যায়, উল্লেখিত খতিয়ান ভুক্ত জমির পূর্ব মালিক পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড আলমগর গ্রামের আবদুল মতিন বিগত ২০১৩ সালে অপ্রত্যাহার যোগ্য আম-মোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড নবীনগর পশ্চিম পাড়ার প্রদীপ বিশ্বাস -এর নিকট উল্লেখিত জমি হস্তান্তর করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত ভূমির উন্নয়ন সাধন, ট্যাক্স প্রদান, বেঁচা-বিক্রি, হেবা, দান এমনকি সম্পত্তির আয়-ব্যয় হিসাব নিকাশ সংরক্ষণ করিতে পারিবেন।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রদীপ বিশ্বাস ওই জমি গুলো স্থানীয় কৃষক আনোয়ার হোসেন, হবি মিয়া ও আবুল খায়েরের নিকট বাৎসরিক পত্তন হিসেবে প্রদান করেন।
পরে ২০১৯ সালে প্রদীপ বিশ্বাস উক্ত জমি শিপ্রা বিশ্বাসের নিকট ১ কোটি ৬৬ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করেন। জমি ক্রয়ের পরবর্তীতে শিপ্রা বিশ্বাসও একই ভাবে একাধিক কৃষকের নিকট পত্তন দেন।
এদিকে আব্দুল মতিন সম্প্রতি সেই জমিতে নিজ মালিকানা দাবি করে সাইন বোর্ড টানিয়ে দেন। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে শিপ্রা বিশ্বাস একটি লিখিত আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হাসান সরেজমিনে তদন্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তাহের, ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
তদন্ত শেষে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হাসান সাংবাদিকদের জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহোদয় জানতে চেয়েছেন এই নালিশি জমিগুলো কার দখলে আছে। সেটি দেখার জন্যই আমি সরেজমিনে তদন্তে এসেছি।