গত ২৯ মার্চ সোমবার কিছু দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে “ইন্দুকানীতে ব্যবসায়ীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে নির্যাতন” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার।
এক প্রতিবাদ বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনে। আমি তখন ছিলাম স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় মাহফিলে। পরে উপজেলা পরিষদে জরুরী একটা বৈঠকে উপস্থিত হোই তখন আমাকে এলাকার লোকজন এ ঘটনা জানালে আমি সাথে সাথেই পুলিশ ও সাংবাদিক দের অবগত করি।
তিনি আরও বলেন- আমার সামনে নির্বাচন তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে কিছু লোকজন আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ মিথ্যা সংবাদ বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় ছড়িয়েছে। আমি এই নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ভুক্তভোগী বিবাহিত মেয়ে মারুফা জানান, আমার কাছ থেকে কিছু দিন আগে আল আমিন জোরপূর্বক ফোন নাম্বার নেয়, তার পর থেকে ও আমাকে বারবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করে। পরে আমি ফোন বন্ধ করে রাখি রোববার রাতে আমি আমার স্বামীর সাথে কথা বলতে ঘরের বাইরে বের হলে, আমাকে সে মুখ ও গালা চেপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করলে আমি তখন বাধা দিলে তখন আমাকে আঘাত করে। পরে আমার পরিবারের লোকজন ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়- অভিযুক্ত আল আমিন ভুক্তভোগী মারুফা তার স্বামীর সাথে কথা বলার জন্য ঘরের বাইরে বের হলে, তখন আল আমিন ধর্ষন করার উদ্দেশ্যে মারুফার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এসময় ভুক্তভোগীর ভাইসহ আসপাশের লোকজন আল আমিন কে ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হাওলাদার কে খবর দিলে সে পুলিশ ও সাংবাদিক দের জানান।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিন কে আটক করেন। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়।