মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িমজলিস গ্রামের জামালের বাড়ির ভাড়াটিয়া কুলি আনোয়ার এক সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয়ের ছত্রছায়ায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন অত্র এলাকায়। পুরো এলাকায় গিট্টু হৃদয়ের আধিপত্য বিস্তার ছিল। তাই সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুলি আনোয়ার রাতারাতি মাদক ব্যবসায় সফলতার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক বনে যায়। গত দুই বছর আগে গিট্টু হৃদয় র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর কুলি আনোয়ার গা ঢাকা দেয়। বেশ কিছুদিন পলাতক থাকার পর আবার ফিরে এসে এলাকা পরিবর্তন করে আবার পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে কুলি আনোয়ার ফেনসিডিলের পাইকারি বিক্রেতা। মাদক ব্যবসার অন্তরালে কুলি আনোয়ার অটোরিকশা চালিয়ে থাকেন। মূলত স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য সে অটো রিকশা চালানোর অভিনয় করে থাকেন।
একসময় বিভিন্ন চাউলের দোকানে সে চাউলের বস্তা ওঠানো-নামানোর কাজ করতো। হঠাৎ তার সখ্যতা তৈরি হয় গিট্টু হৃদয়ের সাথে এর সুবাদে কুলি আনোয়ার পুরো এলাকায় মাদক ব্যবসা, ফ্লাট বাসায় পতিতার ব্যবসা, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন গুম-খুনের’ সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এতে করে সে নানাভাবে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। ওই সময় কুলি আনোয়ারের ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পেতো না।
অনুসন্ধানে জানা যায়,কুলি আনোয়ার তার অবৈধ ইনকামের টাকা দিয়ে সনমান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২৫ বিঘা জমি ক্রয় করেন ও সে নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা লাভে দিয়ে রেখেছে। এবং তার ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছেন।
কুলি আনোয়ারের নামে সোনারগাঁ থানায় মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজির অসংখ্য মামলা বিদ্যমান আছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী ক্রসফায়ারে নিহত গিট্টু হৃদয়ের প্রধান সহযোগী হওয়ার পরও সে এখনো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিগত সময়ে কুলি আনোয়ারের ধারা বাড়িমজলিশ, বাড়িচিনিশ, বন্ধেরা গ্রামের অত্যাচারিত নিপীড়িত নিরীহ সাধারণ জনগণ চান কুলি আনোয়ার কে আইনের আওতায় এনে কঠোর সাজা দেওয়া হোক।