উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল: নড়াইলের কুমড়ি গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার পর পুলিশি গ্রেফতার আতংকে কুমড়ি পূর্বপাড়াসহ আশপাশের এলাকা পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছে অনেক নির্দোষ নিরীহ কৃষক বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছে ঐ গ্রামের মহিলারা কিন্তু গ্রেফতারের ভয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় সরোজমিনে গেলে এলাকার মহিলারা বলেন, আমরাও চাই এ ধরনের ঘটনার সাথে যারা জড়িত সকলের কঠিন শাস্তি হোক কিন্তু যারা এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট না,যারা নির্দোষ নিরীহ এদের কে যেনো বিনা কারণে গ্রেফতার না করা হয় এবং তারা যেনো বাড়ি এসে ঘরে তুলতে পারে সোনালী ফসল। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আটক করা হোক এবং নির্দোষ অসহায় মানুষদের যাতে পুলিশ হয়রানি না করে সে বিষয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মহিলারা।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, প্রকৃত এ বিষয়ের সাথে যারা জড়িত তাদেরকেই মূলত আইনের আওতায় আনা হবে। যারা এ বিষয়ে এর সাথে সংশ্লিষ্ট না তাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কে কেদ্র করে দুপক্ষের দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোর সময় দুইজন এ এস আই মীর আলমগীর ও মিকাইল হোসেন এর উপর হামলা ও অস্ত্র ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। ওইদিন জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযান চালিয়ে আহত এ এস আই ও ছিনতাই হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করে ও ৩ জন মহিলাকে আটক করা হয়। এরপর এ এস আই মিকাইল বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।