মো: সোহেল খান : করোনার মধ্যেই সামনে আসছে ঈদ। এই ঈদকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট গুলিতে ঈদের কেনা কাটা বেশ জমে উঠেছে। লকডাউনে শপিং মল গুলো সকাল ৯টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত খোলা থাকার কথা বলা হলেও অনেক শপিং মল গুলো গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে। কোন মার্কেটেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বস্ত্র বিতানগুলোতে লক্ষ্যকরা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বস্ত্র বিতানে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী শাড়ী কাপড়, থ্রি পিস ও পাঞ্জাবী সহ বিভিন্ন পোশাক পাওয়া যাওয়ায় অন্যান্য বছরের মত এ ঈদের ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় সকলের দৃষ্টি কাড়ছে। ক্রেতাদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের সংখ্যা দ্বিগুনের চেয়েও বেশী। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ ক্রেতা বিক্রেতা স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। মুখে মাস্ক থাকলেও ক্রেতাবিক্রেতা ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটা করছেন। রহমত ম্যানশনের
ফাইম ফ্যাশন বস্ত্র বিতানের প্রোপ্রাইটর আবুবকর সিদ্দিক জানান,একই মার্কেটের ক্লাসিক ফ্যাশন এর প্রোপ্রাইটর তাজুল ইসলাম ও আইয়ুব প্লাজা মার্কেট এর আবরণী বস্রবিতান এর প্রোপ্রাইটর মনির হোসেন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশীয় সুতার তৈরি স্কাট থ্রি পিছ, জামদানি শাড়ি, খাদী, আড়ং ও কটুমো পাঞ্জাবী, আর ভারতীয় থ্রি পিছ অরগেন্ডী ও ভারতীয় শাড়ি কাপড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
ক্রেতাদের কেনাকাটায় দোকানপাটে হুমড়ি খেয়ে পড়ার অবস্থা দেখে মনে হয় ঈদের কেনাকাটার ধুম লেগে গেছে। করোনা মহামারীর কথা যেন তাদের মনেই নেই। মানছে না তারা কোনই স্বাস্থ্যবিধি। মুখে নেই মাস্ক, নেই সামাজিক দূরত্ব। সচেতন শ্রেণীর মতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মার্কেট গুলিতে ক্রেতাদের দোকানপাটে এ অভাবনীয় ভিড় করোনা সংকটকে আরো প্রকট করে তুলবে।