নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৩নং ভাবিচা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাইকড়া বাজারে গত ১৫/০৫/২০২১ রোজ শনিবার রাত ১২.৩০ মিনিটে এক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বিষয় টি নিয়ে নিয়ামতপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ আলাউদ্দিন দেওয়ান। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দৈনিক গণকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক পরিবর্তনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আলমগীর মন্ডল এবং দৈনিক ভোরের ডাক নিয়ামতপুর প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম ঘঠনা স্থলে সরেজমিনে অবস্থান করাকালে অতর্কিত ভাবে দানেস আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২৭) আব্দুস সাত্তারের ছেলে বেলাল হোসেন( ৩২) মজিবর রহমান মধুর ছেলে সাইদুর রহমান (৪০) নছরতউল্লাহর ছেলে সাদেক আলী (৭০) ও অজ্ঞাত নামা আরো ৩০/৪০/জন দেশীয় অস্ত্রসহ সাংবাদিক আলমগীর মন্ডল এবং সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের উপর হামলা করে এবং তাহাদের নিকট থাকা একটি ডিএসেলার ক্যামেরা ও শার্টের বুক পকেটে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়, এবং বিভিন্ন লাঞ্চিত সহ বারবার প্রাননাশের হুমকি প্রদান করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দানেশ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে নিয়ামতপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এ এস আই রহুল আমিনের সোর্স হিসেবে কাজ করত এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার সহ এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে মাদক দিয়ে বিভিন্ন কেচ ও ট্যাফে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তার এক মাত্র কাজ।
বিগত ১৫/০৫/২০২১/তারিখে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় ইমন নামের এক ছেলেকে বাজার ডিউটিরত নাইটগার্ড হাথে নাতে ধরে ফেললে সে সময় হাবিবুর রহমান এবং স্থানীয় জামাত বি এনপির ইউপি সদস্য সাদেক আলী অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের কোন রকম ক্ষতি পূরণ না দিয়ে বিষয় টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন
এ সময় ক্ষতিগ্রস্তরা বিষয় টি সাংবাদিক আলমগীর মন্ডল এবং সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে জানায় এবং তথ্য সংগ্রহ করতে ঘঠনা স্থলে আসলে তারা এই হামলার সম্মুখিন হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাইকড়া বাজারের স্থানীয় একজন সচেতন নাগরিক জানান হাবিবুর রহমান এই এলাকায় প্রভাব বিস্তার থেকে শুরু করে পল্লীবিদুৎ অফিসে লাইন পেয়ে দেয়া থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে জামাত বি এনপির একজন ইউপি সদস্যর সহযোগিতায় এই সকল অপকর্ম করে থাকে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই পুলিশ দিয়ে হয়রানি শুরু করে।
বিগত দিনে হাবিবুর রহমান দেশের করোনাক্লান্তি লগ্নে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও যাত্রাগানের পালা বসায় যা মিয়ামতপুর থানা পুলিশ অবগত রয়েছেন কিন্তু কোন কাজ হয়নি গায়ের জোরে সে যাত্রাপালা চালিয়ে যায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই মিথ্যা মামলার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি আরও বলেন হাবিবুর রহমানের নাকি ওসি এসপি পকেটে থাকে বিষয়টি নিয়ে আলমগীর মন্ডল নিয়ামতপুর থানায় হাবিবুর রহমান কে ১নং আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।