নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদের ভাগ্নে শরিফুল ইসলাম ওরফে গুড্ডু ও তার সহযোগীরা এক গৃহবধূকে অপহরণের পর ৫ দিন আটকে রেখে গণধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে বন্দর থানা পুলিশ কুড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গনধর্ষন মামলার ১নং এজাহারভ’ক্ত আসামী লম্পট শরীফুল ইসলাম গুড্ডু (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত শরিফুল ইসলাম গুড্ডু বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার আলতাফ ওরফে আলতু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গনধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক গুড্ডুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২০(৬)২১।
মামলার অপর আসামীরা হলো, বন্দরের কুড়িপাড়া নয়ামাটি এলাকার রুহুল আমিনের ভাড়াটিয়া ও মৃত তোতা মিয়ার ছেলে সোহরাব ওরফে পাগলা শুভ(৩৭) এবং একই এলাকার ছালাম মাস্টারের ছেলে ফিরোজ মিয়া(৩৬)।
গনধর্ষন মামলার প্রধান আসামী লম্পট গুড্ডু গ্রেপ্তারের সংবাদ পেয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য রাতভর থানায় ব্যর্থ তদবির চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জানান, তিনি গত ২৫ মে সন্ধ্যা পোণে ৭ টার দিকে বন্দরের মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালের গেইটের সামনে যাওয়ার পর একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই গুড্ডুসহ ৩জন তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে অপহরণ করে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে দোতলা বাড়ির একটি কক্ষে ৫ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞাতনামা এক কাজের বুয়ার মাধ্যমে তিনি ছাড়া পেয়ে ৩০ মে বাড়ি ফিরে এসে স্বামীকে ঘটনাটি জানান।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৩ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন। মামলার এক নম্বর আসামী শরীফুল ইসলাম গুড্ডুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।