লিয়াকাত : রাজশাহীতে লকডাউনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মতিহার থানা পুলিশের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও রাজশাহী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সদস্য এম.এ.হাবিব জুয়েল।
এ ঘটনায় আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব।
২৫ জুন রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সহঃ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে পুলিশ কতৃক লাঞ্চিত হয়েছে সাংবাদিক এম এ হাবিব জুয়েল। বিবৃতিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিচার দাবি করা হয়।
ঘটনার সুত্রানুসারে জানা যায়, বৃস্পতিবার বিকাল আনু: ৬.১০ মিনিটে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও রাজশাহী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সদস্য এম.এ.হাবিব জুয়েল সংবাদ সংগ্রহের জন্য তার এক সহকর্মীর সাথে নিয়ে বিনোদপুর বাজার যাচ্ছিলেন।
এ সময় মতিহার থানাধীন তালাইমারী মোড়ে এসআই সেলিমসহ রাজশাহী পুলিশ লাইনের সদস্যরাও ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন।
এমন সময় সাংবাদিক এম.এ.হাবিব জুয়েলকে বাইক থামানোর সময় – কুতুবুল নামের পুলিশ লাইনের একজন হাবিলদার -অশ্লীল ভাষায় – “এই বাইন….. গাড়ি থামা না হলে পা কেটে ফেলব” বলে গালি গালাজ করতে করতে গাড়ি থামাতে বলেন।
এ সময় সাংবাদিক হাবিব জুয়েল গালি গালাজ কেন করছেন বললেই ঐ হাবিলদার কুতুবুল আরোও বেশী ক্ষিপ্র হয়ে ঐ সাংবাদিককে গালি গালাজ করতে থাকেন।
পরবর্তীতে রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে মতিহার থানার এসআই সেলিম ও কন্সটেবল জলিল এসে সাংবাদিক হাবিব জুয়েলকে বুকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষ্রিপ্ত হয়ে বলেন – ঐ মিয়া এত কথা বলেন কেন গাড়িতে উঠে চলে যান। যদি না যান তাহলে কিন্তু বিষয়টা ভালো হবেনা। এমন সময় কাউকে কিছু না বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন হাবিব জুয়েল।
তবে উক্ত ঘটনার সময় মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন পত্রিকা এবং ইউটিউব চ্যানেলের সাংবাদিক লিয়াকাত এর ক্যামেরায় উঠে আসে। সেই ভিডিওতে স্পস্ট প্রতীয়মান হয় যে, একজন সাংবাদিককে কিভাবে পুলিশের এসআই এবং একজন কন্সটেবল বুকের উপর ধাক্কা দিয়ে কথা বলছেন।
উক্ত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ।