নড়াইলের কালিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) আওতায় ১৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৪৩ টাকার সড়কের উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে।
কালিয়া পাবলিক লাইব্রেরী থেকে উপজেলার বড়দিয়া কলেজ মোড় প্রর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজটি রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আর.সি.আই.পি) নামে কাজটি করা হচ্ছে। যার সড়ক আইডি-২৬৫২৮২০০২। এলজিইডি’র অফিস সুত্রে জানা যায়,নড়াইল সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) আওতায় এন.সি.ই.এল-পি.ডি.এল (জেভি)১০৫,মধ্য বাড্ডা,ঢাকা-১২১২ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি এ কাজটি করছেন। এ কাজের জন্য চুক্তিমূল্য তের কোটি তেত্রিশ লক্ষ তিপ্নান্ন হাজার দুইশত তেতাল্লিশ টাকা ধরা হয়েছে।
সড়কের ০০মিটার থেকে ১১হাজার ২২০ মিটার এবং সড়কের চওড়া ৫.৫০ মিটার (১৮ফিট) করার কথা সিউিউলে দেখা যায়। বাস্তবে সিডিউল মোতাবেক ওই সড়কের কাজ করা হচ্ছে না। ৯ ডিসেম্বর- ২১ এ কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এ প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের করা হচ্ছে। কালিয়া উপজেলা এলজিইডির ভারপ্রাপ্ত নকসাকার আলী আহম্মেদ এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকলেও তাঁকে ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্য কাউকে কাজের সাইডে দেখা যায়নি। উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়ীয়া এলাকাসহ অনেক জায়গায় সড়কের কার্পেটিং এর কাজ করার পর তা উঠে গেছে এবং সড়ক ডেবে গেছে। সড়কের চওড়া ১৮ফিট করার কথা থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় তা নেই। যা সাংবাদিকদের নজরে আসে। পরে তারা সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এ প্রসঙ্গে সালামাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা শরীফ নাসির মাহমুদ জানান, কালিয়া-বড়দিয়া সড়কের নির্মাণ কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হচ্ছে। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের যোগসাযোশে এ অনিয়ম হচ্ছে। কার্পেটিং করার পরই পায়ের ঘষাতেই তা উঠে যাচ্ছে। এ সড়কে নিম্ন মানের কাজ জন প্রতিনিধিরা দেখেও দেখছেন না। যা দুঃখ জনক ঘটনা।
এ বিষয় ওই প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা আলী আহম্মেদ বলেন, কাজের গুনগত মান খারাফ নয়। সিডিউল মোতাবেক করা হচ্ছে। এ বিষয় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশনী সুুজায়েত হোসেন বলেন, ওই সড়কের কাজের যে সমস্ত দ্রুটি আছে। কাজ হস্তান্তরের আগে ঠিক করে দিতে হবে।