কলকাতা পুলিশের নাকা চেকিং ধরা পড়ল, ভূয়া সি বি আই অফিসার শ্রী সনাতন রায় চৌধুরী। আজ সাতসকালে কলকাতার গড়িয়াহাট থানার পুলিশের নাকা চেকিং ধরা পড়ল নীল বারিওয়ালা সি বি আই স্টিকার মারা ভূয়া সি বি আই অফিসার শ্রী সনাতন রায় চৌধুরী। এর আগে কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ে ভূয়া কোভিড কোরনা ভ্যাকসিন কান্ডের পান্ডা ও ভূয়া কলকাতা পৌরসংস্থার জয়েন্ট কমিশনার শ্রী দেব রন্ধন দেব। সেই কেস নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সরগরম হয়ে আছে। তার মধ্যে কিছু দিন আগে কলকাতা পুলিশের নাকা চেকিং ধরা পড়েছিল বেনিয়া পুকুর থানা এলাকার ভূয়া সি আই ডি অফিসার জনাব নৌশাদ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। তিনিও নীল রঙের বাতি জ্বালিয়ে রাস্তায় সি আই ডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের নাকা চেকিং ধরা পড়ে যায়। আজ পর্যন্ত দুই প্রতারক শ্রীঘরে আছে। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারনার মামলা দায়ের করা হয়েছে পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে। তার পর আজ কলকাতার বরাহনগর এলাকার বাসিন্দা শ্রী সনাতন রায় চৌধুরী নীল রঙের বাতি জ্বালিয়ে গড়িয়াহাট থানা এলাকার রাস্তা দিয়ে আসার সময় কলকাতা পুলিশের নাকা চেকিং ধরা পড়ে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন যে সে কলকাতার সি বি আই এর অফিসার। কখনো বলছেন তিনি হাইকোর্টের সি বি আই এর এডভোকেট। কখনো বলছেন তিনি ভিজি লেন্স অফিসার। তিনি সঠিক উত্তর না দেওয়াতে পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন পুলিশ চেপে ধরলে বেরিয়ে পড়ে, আসলে তিনি একটা প্রতারক। গড়িয়াহাট থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং তার নীল রঙের বাতি ওয়ালা গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যায় তিনি প্রতারণা করে প্রায় দশ কোটি টাকার সম্পত্তি করছেন। তার আয়ের উৎস জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তবে খোদ কলকাতার বুকে ভি আই পি স্টিকার মারা বহু ব্যাক্তি নীল রঙের বাতি জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের ধরার জন্য কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ও পশ্চিম বাংলার পুলিশের পক্ষ থেকে নাকা চেকিং চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতারকদের ধরতে। তবে একটি প্রতারনার জাল যে গভীরে লুকিয়ে আছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন। তবে প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজ্যে সরকার।। ভারতের কলকাতা শহর থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।