রাজশাহী ব্যুরোঃ গতকাল রবিবার (০৮ আগস্ট) বিকেল ০৫.১৫ মিনিটের সময় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর বাজার এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে ৬১ পিচ ট্যাপেনটাডল ট্যাবলেট ও ৩৬৬ পিচ যৌন উত্তেজক ক্যাপসুলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
আটককৃত আসামিরা হলো মোঃ ফজলে রাব্বী (২১), পিতা-মোঃ আঃ রাকিব ও মোঃ আঃ রাকিব (৫০), পিতা-মৃত আব্দুল জব্বার, উভয় সাং-বিড়ালদহ থানা-পুঠিয়া, জেলা-রাজশাহী।
এসময় তাদের কাজে থেকে বিএমডিসি ভুয়া সার্টিফিকেট (রেজিঃ নং-২৬৬৪৭, যার মূল মালিক ডঃ শামসুন্নাহার), আরেকটি বিসিএমডিসি ভুয়া সার্টিফিকেট ০১ টি (যার রেজিঃ নং-০০০৫২০১৬), (৫) ভিজিটিং কার্ড ০১ বক্স, (৬) ০১টি মোবাইল ফোন, (৭) ০১টি সীমকার্ড, (৮) ০১টি মেমোরিকার্ড, (৯) প্রেসক্রিপশন প্যাড উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর বাজারস্থ জনৈক মোঃ আঃ রাকিব তাহার মমতা ফার্মেসীতে নিজে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার সাজিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ লোকজনকে চিকিৎসা প্রদান করিয়া ক্ষতিগ্রস্থ করিতেছে এবং একই স্থানে ঞধঢ়বহঃধফড়ষ ঞধনষবঃ ও অন্যান্য মাদক জাতীয় ঔষধ গোপনে এলাকার মাদক সেবীদের মধ্যে বিক্রয় করিতেছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে গতকাল রবিবার ০৫.১৫ মিনিটের সময় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর বাজারস্থ রাজশাহী টু নাটোরগামী মহাসহড়কের উত্তর পাশের্ব কলেজ মার্কেটে মমতা ফার্মেসীতে পৌছামাত্রই গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ফজলে রাব্বী @ রাব্বী (২১), পিতা-মোঃ আঃ রাকিব, ও মোঃ আঃ রাকিব (৫০), পিতা-মৃত আব্দুল জব্বার, উভয় সাং-বিড়ালদহ, থানা-পুঠিয়া, জেলা-রাজশাহীদ্বয় পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আটক করা হয়। উক্ত আসামীদ্বয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণি ২৯ (ক) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে এবং একই সাথে উল্লেখিত ০২নং আসামী মোঃ আঃ রাকিব অবৈধ মাদকদ্রব্য ব্যবসার অন্তরালে নিজেকে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার হিসাবে পরিচয় দিয়া প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করিয়া, নিজের নামে ভিজিটিং কার্ড ও জনসাধারণের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র প্রদান করায় পেনাল কোড এর ৪২০/৪৬৮/৪৭১ ধারার অপরাধ করিয়াছে।
উক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে রাজাশাহী জেলার পুঠিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণি ২৯ (ক) তৎসহ পেনাল কোড ৪২০/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।