শিশুটির মা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় তার মেয়ে ইফতি বাড়ির পাশে ঝাউতলা মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে সাতার শিখতে যায়। প্রতিদিন তার বাবা ঝাউতলা এলাকার আবু জোবায়ের শশি ঐ পুকুরে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে নিয়ে যান। কিন্তু গতকাল সোমবার কাজ থাকায় তিনি যেতে পারেন নি। আর এই সুযোগটা নিয়েছে বরিক। তিনি আরো বলেন, বরিক ইতোপূর্বে আরো বেশ কয়েকটি নারীঘটিত ঘটনা ঘটিয়েছে এবং জনগণের হাতে মারও খেয়েছে। তার শিশু কন্যার সাথে যা করেছে এই রকম ঘটনা আর যেন কারো সাথে ঘটাতে না পারে তার জন্য এই চরিত্রহীন বরিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় রাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি বলেন, বেলা ১১টার দিকে তাঁর ওয়ার্ড কার্যালয়ে সামনে জনগণের হট্টোগোল শুনে তিনি সেখানে যান। যেয়ে জনগণের মুখে এই ঘটনা শোনেন। ততক্ষণে লম্পট মনিরুল ইসলাম বরিককে জনগণ ঘিরে রাখে। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি থানায় খবর দেন।
রাজপাড়া থানার সেকেন্ডে অফিসার মকবুল হোসেন তার ফোর্স নিয়ে এসে বরিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, এই রবিক পূর্ব থেকেই চরিত্রহীন। বিগত দিনেও তিনি একাধিক নারীঘটিত ঘটনা ঘটিয়েছে। জনগণের নিকট মার খেয়ে তার লজ্জা হয়নি। এখন আবার এই ছোট শিশুর দিকে তার নজর গেছে। তিনি বরিকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
এ বিষয়ে রাজাপাড়া থানা সেকেন্ড অফিসার মকবুল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান এবং জনরোষানল হতে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ নিয়ে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ে করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এই পুলিশ।