“পত্রাবলী ৩”
প্রিয়তমা, হে রূপবীন প্রেমিকা তোমার জন্য আমার বুকে বয়ে যাচ্ছে অনলের ঝিলিক। তুমি কি পারনা আমার কচি বুকের অনলটাকে নেভাতে? কোন রাজসিংহাসন কিংবা ডুবাইয়ের বুজ খলিফায় বসে নয়, এ এক নিচু তলার মানুষ যা বাবুই পাখির মতো ছোট নীড়ে বসে লেখা। তুমি আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ রত্ন। একমাত্র তুমিই আমার ছোট হৃদয়ে ঠাই পেয়েছো। ছোট খাটো বিষয় গুলা আমাদের মধ্যে কয়েক লক্ষ আলোকবর্ষের মতো ব্যবধান করে দিলো। চেয়েছিলাম ভিতর বাহিরে পরিপূর্ণ ভাবে আমরা দুজন দুজনের হয়ে থাকবো। কোন পুরুষ তোমার দিকে চেয়ে একটু হাসলে মনে হয়েছে একক্ষুনি যেয়ে তার বক্ষছেদ করে দিই। কতবার মনে হয়েছে তোমাকে নিয়ে এমন কোন গ্রহে পালিয়ে যাই, যেখানে চোখ মেললেই আমি তোমাকে আর তুমি আমাকে দেখবে। আমার শত আদরের শাষন তুমি নিরবে সয়েছো। তোমার মুখ দেখে কখনো বুঝিনি এতটুকুও বিরক্ত হয়েছো। সকল সোহাগ চরম পুলকে উপভোগ করেছো। আমার হাতের মতো এত সুন্দর বক্ষ বন্ধনী কোথায় পাবে? বলেছিলাম, তোমাকে না পেলে পাষাণ বেদীর যুপকাষ্টে নিজেকে আত্মহুতী দিতে বাধ্য থাকবো। পারলাম কই? আত্মাকে যে হত্যা করা যায়না। বাঁচার মতো বেঁচে নেই রে আমি। ভিতরের রূপ বাইরে দেখাতে পারিনা তাই এত জ্বালা। প্রেয়সী আমার, মনে আছে? ঘুম মাখা চোখে একদিন তোমার ফোন রিসিভ করতেই কাঁদো কাঁদো গলায় বলেছিলে, আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেনা তাড়াতাড়ি কোন কর্ম করে যেন তোমার বাড়ি প্রস্তাব দেই। ঠিকই তো আছো সব সয়ে গেছো। মিথ্যা কেন বলেছিলে? আমার দিনগুলা এখন প্রথম মানুষ আগমনের মতো নিঃসঙ্গ একাকী কাটে। সুখ গুলো ফিনিক্স পাখি হয়ে উড়ে গেছে। তোমাকে ভাবি তার চেয়ে বেশি ভাবি যখন তোমাকে ভাবিনা। ভালোবাসা নিও।
“পত্রাবলী ৪”
প্রিয়তমা, পত্রের প্রথমে জানাই পাথরের বুকে ফুল ফুটানো এক পারদস্যি প্রেমিকের ছোট হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা। কত স্মৃতি নিয়ে বাঁচতে হয় আমাকে। মনে পড়ে তোমাকে প্রথম দর্শনের দিন। কত লাজুক ছিলে মুখে কথা থাকতো না। তোমার সামনে গেলে আমিও কথা হারিয়ে ফেলতাম। বলছিলে আমাকে ছাড়া কখনো থাকতে পারবেনা। কোরআনের আয়াতের মতো শ্রদ্ধাভরে বিশ্বাস করেছিলাম তোমার কথা। আচ্ছা মুঠোফোনে তিন কবুল বললে কি বিয়ে হয় না? তুমি আমাকে অস্বীকার করলেও আমার অস্তিস্ত্ব কে কখনো অস্বীকার করতে পারবে? তোমার দেহ আজীবন আমার জীবনের অংশ বহন করবে। রাত এতো আততায়ী কেন বলতে পারো? প্রতি রাতে অসংখ্য মানুষ কে বার বার হত্যা করে। হৃদয়ের ভিতর হুহু করে। সেই দিনন গুলা আবার পেলে সব অন্য ভাবে শুরু করতাম। অতীত ভুলতে পারিনা বন্ধু তাই এতো জ্বালা। আর কোন ভোর আমার জীবনে সকাল নিয়ে আসবেনা। পাখির গানে মন ভরবেনা। বৃষ্টিতে মন ভিজবেনা, বসন্তে কোকিল গাইবেনা। ফাগুনের বাতাস মন কে নেশা লাগাবেনা। যদি তুমি ফিরে না আসো।