রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক হাজার গরীব ও দুস্থ্যদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে বিশ^ গোডাউন চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
খাবারের প্যাকেট বিতরণের পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মহোদয় বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শোকাবহ দিবসটি আমরা যথাযথ মর্যাদায় পালন করছি। এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, বিশ্ববাসী বুঝতে পারছে বঙ্গবন্ধু কত উচুঁ মানের নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁড়িয়ে পড়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন। কিছু পথভ্রষ্ট বিপদগামী কুলাঙ্গার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তাদের সেই অসৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
মেয়র মহোদয় আরো বলেন, মহামারি করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। তখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী, দক্ষ ও সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা সফলভাবেই করোনা মোকাবেলা করতে পারছি। করোনার দুঃসময়ে সরকার সারাদেশে দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্থ গরীব ও অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি সহায়তা বিতরণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও দফায় দফায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেই দল, যে দল দেশ গড়ছে, মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকে।
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন রাসিক মেয়র। একইসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন তিনি।
১৯ নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ রেজাউল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, সংরক্ষিত জোন-৭ কাউন্সিলর উম্মে সালমা বুলবুলি, শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ আক্তারুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহাবুদ্দিন, এ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার মুক্তি, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ওপেন লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার আলী, ১৯ নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, ১৯ নং ওয়ার্ড (উত্তর) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবর আলী, মহানগর শ্রমিকলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আইনুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত সিনহা দেবু প্রমুখ।