তোমাতে আসক্ত
শারমিন সুলতানা মিতু
শুনেছি-
ছেলেদের বাম পাঁজরের অংশ দিয়ে-
তার প্রিয়তমাকে সৃষ্টি করা হয়!
আমি চাই আমি তোমার সেই অংশ হই।
জন্মের আগেই নাকি প্রতিটা মানুষের ভাগ্য লিখা হয়ে যায়,
আমি চাই আমার সেই অজানা অচেনা ভাগ্যে তুমিই লিখা থাকো।
শুনেছি-
মানুষ তার আপনজনকে হাতের রেখায় খোঁজে,
কিন্তু আমি তোমাকে দুই হাতের প্রার্থনায় খুঁজতে চাই।
শুনেছি-
হাতের অনামিকা অন্য আঙুল গুলোর চেয়ে স্পেশাল
শুধু মাত্র জীবন সঙ্গি সে আংঙুলে আংটি পরাতে পারে!
আর আমি চাই আমার সেই অনামিকাতে তোমার পূর্ণতা নিতে।
শুনেছি-
আজ কাল সবাই ভালোবাসার মানুষকে কাঠগোলাপের লাল, সাদা কিংবা অন্য কোনো রঙ উপহার দিচ্ছে!
আর তুমি আমায় শুধু কৃষ্ণচূড়ার লাল উপহার দিও।
শুনেছি-
সবাই কাশঁফুল দেখাচ্ছে তার কাছের মানুষটাকে!
কিন্তু আমি তোমায় সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ দেখাতে চাই।
যার মেয়াদ সাময়িক নয়,
তোমার মন খারাপের সময় যেন সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাটঁতে পারো।
শুনেছি-
সবাই আজ কাল ভালোবাসার মানুষের সাথে অনলাইনের আলাপে ব্যস্ত থাকে,
রাত কাটিয়ে সকাল পেরিয়ে যায়।
কিন্তু আমি!
তোমায় যান্ত্রিকতায় খুঁজে বেড়াতে চাই না!
অফলাইনে থেকে হটাৎ করে
তোমার কথা মনে করে অজান্তেই একটু হাসতে চাই।
অফলাইনেও তোমাতে আমি আসক্ত থাকতে চাই।
শুনেছি-
ভালোবাসলে হাত ধরে বিকেল কাটাতে হয়,
সাক্ষাৎ করতে হয় রুটিন করে,
কিন্তু আমি তোমায় মাস খানেক পর পর না হয় একটা নজর দেখতে চাইব,
তোমার হাসি মাখা মুখ দেখেই বিকেল কাটাব।
সবার মত আমি তোমাকে রেষ্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে সময় কাটাতে বলবো না,
কোনো রাস্তার মোড়ের ভাঙা টং দোকানে তোমার
সাথে না হয় এক কাপ চা খাব।
কোনো এক শুভক্ষণে তোমার আপনজনদের নিয়ে আমার আঙিনায় হাজির হবে।
আমার অভিভাবকের নিকট থেকে আমার হাতটা সারাজীবনের জন্য চেয়ে নিবে।
ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসার অধিকারে আমাকে জড়িয়ে রাখবে।
আমার ভালোবাসাতে হৃদয়ের হৃদস্পন্দনের মতো
আজীবন আসক্ত হয়ে থাকবে।