স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং দেখা দিয়েছে প্রাণচঞ্চল্যতা সাথে অভিভাবকদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে এসেছে ৷ দীর্ঘদিন পর ঘর মুখি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যেন উৎসবে মুখরিত।
সরেজমিনে বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষক ও কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল গুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রবেশ করছে, প্রাণোচ্ছল রুপ ফিরে পেয়েছে শিক্ষাঙ্গন।
খেদারমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া বলে ক্লাসে ফিরে কি আনন্দ লাগছে। দীর্ঘ দিন পর যেন সব কিছু অপরিচিত লাগছে। আমি এখন নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে পারব।
অভিভাবক মোহাম্মদ আলী, মনির হোসেন মঈন, জসিম উদ্দিন বলেন, স্বল্প পরিসরে হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তারা আরোও বলেন, টানা বন্দের কারনে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুরণ করতে হলে শিক্ষকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।
উপজেলার খেদারমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জ্যতি বিকাশ চাকমা বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো যেন বিরাণ ভুমিতে পরিণত হয়েছিল। আজ হতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়য়েছে