আমার সব কাজ নাকি সম্পন্ন হয় হয় এ্যাট দ্যা এলিভেনথ আওয়ারে। অন্তত বন্ধু বান্ধবদের কাছে এমনভাবেই পরিচিত আমি। তাদের বাড়িঘরে আমন্ত্রণ রক্ষার ক্ষেত্রে অন্তত এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। কারণ, বিকেলের দাওয়াত রক্ষা করতে রাত তিনটার পর হাজির হওয়ার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে আমার। সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয়টি হলো চেনা জানা বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে স্বজন, পরিজন, আত্মীয়রাও এ বিষয়ে খুব ভালভাবে অবগত রয়েছেন। নিজের বিয়ের কলমা কাবিনের সময়টাও নাকি অল্পের জন্য রক্ষা করতে পেরেছি আমি…এসব নিয়ে বন্ধুমহলে হাস্য রহস্যের কোনো কমতি নেই।
এসব ভূমিকা মার্কা কথাগুলো বললাম নিজ কণ্যাকে গল্পে গল্পে শান্তনা দেয়ার কৌশল হিসেবেই। বিশ্ব কণ্যা দিবস উপলক্ষে আমারও যে একটা কিছু লেখা উচিত, একটু শুভেচ্ছা জানানো দরকার…তা কিন্তু ভোর ৬টা থেকেই বারবার অনুধাবন করছিলাম। কিন্তু গোটা দিন পেরিয়ে গেলেও সেই শুভেচ্ছাটুকু জানানোর যেন সুযোগ হয়ে উঠেনি আমার। যখনই একমাত্র মেয়ে উর্মির বিষয়ে কিছু একটা লিখতে ল্যাপটপ ওপেন করেছি তখনই আরো বেশি জরুরি মনে হয়েছে বনানীর সংবাদ কর্মিদের ভুল বুঝাবুঝ নিরসন করার বিষয়টি। মেয়েকে শুভেচ্ছা জানানোর চেয়েও ঢের বেশি প্রয়োজন মনে করেছি খানসামা থানার ওসির হাত থেকে নিরীহ লোকজনকে রেহাই করার ব্যাপারে কিছু একটা লেখার বিষয়টি। এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে কী মেয়ের বিষয়কে গুরুত্বহীন ভেবেছি? মোটেও তা নয়, বরং আমি জানি আমার সব অবস্থা, সকল সিদ্ধান্ত আমার মেয়ে হাসিমুখেই মেনে নিতে পারে, মেনে নেয়ার যোগ্যতা সে অর্জন করে নিয়েছে। সব অভাবনীয় যোগ্যতা নিয়ে গড়ে ওঠা মামনি উর্মির জন্য বিশ্ব কন্যা দিবসের শুভেচ্ছা, আর আশীর্বাদ অবিরাম।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ইনভেস্টিগেশন সেল এর ইনচার্জ সাঈদুর রহমান রিমন এর ফেসবুক থেকে।