দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ চলেছে তৃনমূল দলের মধ্যে, আসলি ছেড়ে নকলি ধরার।। কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।। বেশ কিছু হচ্ছে মগরাহাট পশ্চিমে তৃনমূল দলের মধ্যে কে কাকে টপকে উপরে উঠতে পারে তার খেলা চলেছে। দেখা গেছে যারা, ২০২১,শে, বিধান সভা নির্বাচনে জীবনের বাজি রেখে জীবন মরন কে ভয় না পেয়ে তৃনমূল দলের প্রার্থী মগরাহাট পশ্চিমে জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কে যারা জেতাতে ময়দানে ছিল, আজ তাদের কে সরিয়ে যারা বিরোধী দলের প্রার্থী জনাব মইদুল ইসলাম ও বিজেপি নেতা ও প্রয়াত বিজেপি প্রার্থী শ্রী মানস সাহা কে জেতাতে সামনের সারিতে ছিল আজ তারা মগরাহাট পশ্চিমে তৃনমূল দলের প্রথম সারির নেতা হতে চলেছে । গত বিধান সভা নির্বাচনে মগরাহাট পশ্চিমে যে যে যায়গায় তৃনমূল দলের প্রার্থী সাবেক পশ্চিম বাংলার মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ও বর্তমান বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা পিছিয়ে পড়েছিল সেখান থেকে সেই অঞ্চলের সদস্য ও প্রধান কে সরিয়ে দিয়ে যারা ভালো ভোট দিয়ে লিড করিয়েছিলেন তাদের কে সম্মান দিতে কোথাও দলের সভাপতি ও কোথাও পুরাতন প্রধান কে সরিয়ে নতুন প্রধান তৈরি করছে দলের বিধায়ক ও এক জেলা পরিষদের সদস্য। কিন্তু অনেক পুরনো নেতা ও কর্মীদের এবং দলের অঞ্চল সদস্য ও প্রধান এবং উপপ্রধান কে সরিয়ে দিয়ে নতুন করে অন্যদের সেই যায়গায় বসাতে গিয়ে দলের নীচের তলায় নেতা ও কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিতে ছাড়ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মগরাহাট পশ্চিমের দাপুটে নেতা ও নেত্রীদের এবং তৃনমূল দলের নীচের তলায় কর্মীদের অভিযোগ যে তাদের দলের নেতা ও বিধায়ক এবং বিধায়কের ভাই এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্য টাকা পয়সার বিনিময়ে এই কাজ করে চলেছে পশ্চিম বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তেই। কারণ হিসেবে তারা বলছেন মগরাহাট পশ্চিমে মধ্যে কালিকাপোতা অঞ্চল এর প্রধান কে সরিয়ে দিয়ে সেখানে দলের সদস্য বেশি থাকতেও টাকা ও পয়সার বিনিময়ে নিরদল সদস্য শ্রীমতী নাসরিন খাতুন কে প্রধান করা হয়েছে। ঔ অঞ্চলে একজন কে প্রধান করার জন্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়েছিল বলে এক সদস্য জানান। তিনি দিতে না পারাতে তাকে সরিয়ে নাসরিন খাতুন কে প্রধান করা হয়। এই অঞ্চলের দলগত পর্যায়ে সদস্য কার কত দেখলে বোঝা যায়। এই কালিকাপোতা অঞ্চলে তৃনমূল দলের সদস্য ছিলেন মোট, ১৪,জন। বিরোধী দল ও নির্দল সদস্য ছিলেন, ৫,জন। এই অঞ্চলে তৃনমূল দলের যে কেউ প্রাধান হতে পারতেন । কিন্তু তা না করে নিরদল সদস্য নাসরিন খাতুন কে প্রধান করা হয়েছে। অন্যদিকে ইয়ারপুর অঞ্চলে ওখানে তৃনমূল দল একক ভাবে ক্ষমতায় নেই। ওখানে তৃনমূল দলের সদস্য ছিলেন, ৫,জন, বিজেপি, ৬,জন, এবং বামফ্রন্ট এর সদস্য ছিলেন, ৪,জন। কিন্তু ওখানে তৃনমূল দলের সদস্য থাকতেও বিজেপি থেকে আনা সদস্য শ্রী দিপক মিস্ত্রী কে প্রধান করায় দলের বহু পুরাতন নেতা ও কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায় । এই প্রধান ফেলা ও তোলা খেলায় মেতেছেন মগরাহাট পশ্চিমের এক তৃনমূল দলের নেতা ও একজন নেত্রী। এই শুরু হয়েছিল আজ থেকে দশ বছর আগে। সেটি মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চলের বামফ্রন্টের প্রধান ফরিদ মোল্লা কে ফেলতে গিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার ডিল করে নিরদল সদস্য জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর কে প্রধান করতে। সেই ডিল খেলায় অংশ নিয়েছিল তৎকালীন উস্হি থানার দন্ড প্রতাপ এস আই জনাব খালেক সাহেব কে সামনে রেখে। সেই বার তৃনমূল দলের ঘোলা নওয়া পাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য জনাব আলাউদ্দিন হালদার কে দূরে সরিয়ে দিয়ে। সেই সময় থেকে এই কেনা বেচা ও টাকা পয়সার বিনিময়ে প্রধান ও উপপ্রধান এবং বিভিন্ন যায়গায় অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক কমিটিতে কাকে ঠাই দেওয়া হবে সব কিছু হিসেবে তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন মগরাহাট পশ্চিমের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু নেতা ও পুরাতন তৃনমূল দলের কর্মীরা।।