রাবার বাগান সন্তোষপুর, ফুলবাড়িয়া ময়মনসিংহ ঘুরে প্রকৃতি প্রেমী মাহবুব আলম এর বিশ্লেষণ:
রাবার গাছের আদি নিবাস হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান উপত্যকার প্রাকৃতিক বনাঞ্চল। ক্রিস্টোফার কলম্বাসকে দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম রাবার আবিষ্কার হিসেবে গণ্য করা হয়। জানা যায় ১৪৯৬ সালে তার দ্বিতীয় যাত্রার পর তিনি কিছু রাবার বল নিয়ে আসেন, যা এক ধরনের গাছের আঠা হতে তৈরী। হাইতির লোকেরা খেলার জন্য উক্ত বল ব্যবহার করতো। ১৮৭৩-১৮৭৬ সালের মধ্যে বৃটিশ নাগরিকের একটি উৎসাহী দল আদি বাসস্থান ব্রাজিল থেকে কিছু রাবার বীজ এনে পরীক্ষামূলকভাবে লন্ডনের কিউগার্ডেনে রোপন করেন। এখান থেকে প্রায় ২০০০ চারা বর্তমান শ্রীলংকাতে প্রেরণ করা হয় এবং সেখান থেকে কিছু সংখ্যক চারা মালয়েশিয়া, জাভা দ্বীপপুঞ্জ, সিংগাপুর পরবর্তীতে কিছু চারা ইন্ডিয়া ও অন্যান্য দেশে পাঠানো হয়। এ চারাগুলো হতেই প্রাচ্যে রাবার চাষের গোড়াপত্তন হয়।
বাংলাদেশে রাবার চাষের প্রাপ্ত তথ্যাবলীতে জানা যায় কলিকাতা বোটানিক্যাল হতে ১৯১০ সালে কিছু চারা এনে চট্রগ্রামের বারমাসিয় ও সিলেটের আমু চা বাগানে রোপন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুর চট্টগ্রামের হাজারীখীল ও তেঁতুলিয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে কিছু রাবার চারা রোপণ করে। এভাবে আমাদের দেশে রাবার চাষের গোড়াপত্তন ঘটে।
১৯৫৯ সনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বিশেষজ্ঞ মিঃ লয়েড এদেশের জলবায়ু ও মাটি রাবার চাষের উপযোগী হিসেবে চিহ্নিত করে রাবার চাষের সুপারিশ করেন।
১৯৬২ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন বাংলাদেশ সরকার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় চট্রগ্রাম অঞ্চলে ৭ টি, সিলেট অঞ্চলে ৪টি এবং টাংগাইল-শেরপুর অঞ্চলে ৫টি সহ মোট ১৬ টি বাগানে সর্বমোট ৪৩৬৩৫ একর এলাকায় রাবার বাগান রয়েছে…