১৫০৮ সালের ৬ মার্চ কাবুলে জন্মগ্রহণকারী মির্জা নাসির উদ-দীন বেগ মুহাম্মদ খান হুমায়ূন ছিলেন মুঘল রাজবংশের দ্বিতীয় সম্রাট, যিনি বর্তমান আফগানিস্তান, পাকিস্তান, উত্তর ভারত এবং বাংলাদেশ অঞ্চল ১৫৩০ থেকে ১৫৪০ এবং পুনরায় ১৫৫৫ থেকে ১৫৫৬ সাল পর্যন্ত শাসন করেন।
১৫৫৬ সালের ২৪ জানুয়ারী, হুমায়ূন, তাঁর দু’হাত ভরা বই নিয়ে নিজস্ব লাইব্রেরি থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামছিলেন। এ সময় মুয়াজ্জিন আযান শুরু করেন। তাঁর অভ্যাস ছিল, আযান শোনামাত্র পবিত্র শ্রদ্ধায় হাঁটুগেঁড়ে বসে পড়া, তা যেখানেই থাকেন না কেন! আযান ধ্বনি শুনে, হাঁটু গেড়ে বসতে গিয়ে পায়ে তার জামা আটকে সিঁড়ির কয়েক ধাপ নিচে পড়ে যান। পাথরের কোনায় কপালে আঘাত পাওয়ার তিন দিন পর (২৭ জানুয়ারী) তিনি ইন্তেকাল করেন।
এই মৃত্যু’তে সম্রাজ্ঞী বেগা বেগম (হাজি বেগম) এতটাই কষ্ট পান যে, স্বামীর স্মৃতি অমর করে রাখতে জীবনের বাঁকি সময়টুকু নিজেকে সমাধি নির্মানে নিয়োজিত রাখেন। সম্পূর্ণ নিজ তহবিল থেকে তৎকালিন ১৫ লক্ষ রুপী ব্যয় করেন।
১৬ বছরে (১৫৫৬-১৫৭২) নির্মীত এই সমাধি উপমহাদেশের প্রথম বাগান-সমাধি, দেখতে অনেকটা তাজমহলের মতোই। তাজমহল নির্মাণেও একই স্থাপত্য কলা ও আবেগ মিশে রয়েছে… প্রথমে স্বামীর জন্য স্ত্রী, তারপরে স্ত্রীর জন্য স্বামী….
বিঃ দ্রঃ- জীবনসঙ্গীর স্মৃতি অমর করে রাখার ক্ষেত্রেও নাকি Ladies রাই First
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।