কলকাতার জোড়া খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র র হাদিস পেল গোয়েন্দা পুলিশ ডায়মন্ডহারবারের ভাগরতীর খালে।কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম। । গত, ১৭,ই, অক্টোবর মাসে, খুন হয়ে যান ভারতের করপোরেট ম্যানেজমেন্ট এর এক নামী কর্নধার শ্রী সুবির চাকি ও তার গাড়ির ড্রাইভার শ্রী রবিন মন্ডল। তাদেরকে খুন করা হয় কলকাতার গড়িয়াহাট পাশে কাকুলিয়া রোডের দোতলা বাড়িতে। এই খুনের রহস্য ভেদ করতে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ এবং কলকাতার ডাকসাইটে পুলিশ অফিসারদের ঘাম ছুটে যায়। অবশেষে নিহত সুবির চাকির বাড়ির দেখভাল করা কাজের মেয়েকে ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার করার পর তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে গোয়েন্দা পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত তার ছেলে ভিকি ও ভাস্কর মন্ডল। এবং এদেরকে সাহায্য করে আরও চার জন। কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ মোট ছয়জন অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে। কিন্তু জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে পুলিশ। এবং নিহত ব্যাক্তির মোবাইল ফোন টি সহজেই উদ্বার করতে ডুবুরি নামাতে হয় গোয়েন্দাদের। কারণ ধৃত ব্যক্তিকে ধরতে অনেক কস্ট করে পাড়ি দিতে হয়েছিল ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বাই শহরে। সেখান থেকে খুনি ভিকি ও ভাস্কর মন্ডল খুনের পর গা ঢাকা দেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দল আড়ি পেতে জানতে পারে খুনের পর তারা সোজা বোম্বাই পাড়ি দেন। খুনিরা ভেবে ছিল তাদের কে কেউ জানতে ও ধরতে পারবে না। তার জন্য সব প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করে। কিন্তু খুনি ভিকি র মা শ্রীমতী মিটু হালদার কে ডায়মন্ডহারবার থেকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জেরা করে জানতে পারে খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় রাখা হয়েছে। অবশেষে মুখ খোলে খুনিরা। এবং কলকাতা জোড়া খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয় ডায়মন্ডহারবারের ভাগরতীর খালে লারপোলের কাছে। গোয়েন্দারা ডুবুরি নামিয়ে দিয়ে তা উদ্ধার করে। এখনো পর্যন্ত তদন্ত চলছে।।