বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে অনুসরণীয় একটি উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে অভিনয়শিল্পীরা সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী শিল্পকলা একাডেমীতে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অভিনয় শিল্পী সংঘের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন। এসময় সংঘের ওয়েবসাইট actorsequitybd.com (একটরসইকুইটিবিডিডটকম) উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিমের পরিচালনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চিত্রনায়ক আলমগীর, প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী মামুনুর রশীদ, তারিক আনাম খান, সালাহউদ্দীন লাভলু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সম্মিলিতভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। ভৌত অবকাঠামোগতভাবে উন্নত এবং মানবিক ও সমাজকল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে মানুষের মনন তৈরিতে অভিনয়শিল্পীদের ভূমিকা অপরিহার্য।
বক্তৃতায় মন্ত্রী অভিনয়শিল্পীদেরকে তাদের পেশার প্রতি মমতার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শিল্পীরা শিল্পকে ভালোবেসেই অন্য পেশায় যাননি। অনেকে বহু সংগ্রাম ও ত্যাগ করেও অভিনয় জগতে রয়ে গেছেন, যারা চাইলেই অন্য পেশায় যেতে পারতেন। তারা আছেন বলেই আমাদের অভিনয়শিল্প সমৃদ্ধ হয়েছে।
দেশের টেলিভিশন খাতের সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপগুলোর সাথে একাত্মতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ মনে করেছিলেন আইনানুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার সম্ভব হবে না, তারা এনিয়ে শোরগোল করারও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সবার সহযোগিতায় দেশের স্বার্থে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্যাবল নেটওয়ার্কে দেশি টিভিগুলোর কোনো ক্রম ছিলো না, এখন হয়েছে। দেশি শিল্পী ও বিজ্ঞাপন শিল্পের সুরক্ষায় আমরা বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে শিল্পীপ্রতি ২ লাখ টাকা ও যে টিভিতে প্রচার হবে, তাকে বিজ্ঞাপনপ্রতি ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে দেওয়ার নিয়ম করেছি।
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান তার বক্তৃতায় সকলকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিনয় শিল্পকে এগিয়ে নিতে আহবান জানান।
বরেণ্য শিল্পীবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সেইসাথে গণমাধ্যম ও অভিনয় জগতের দর্শনগত ও কর্মক্ষেত্র প্রসারে সরকারের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তারা।