বাংলাদেশে এই প্রথম লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করা হয়েছে।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) কনফারেন্স কক্ষে এমনটি জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
বিনা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লবণ ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের মাধ্যমে দেশে ধান গবেষণায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এদেশের মানুষের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বিক্রি করব। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে আরও ভালো জাত উদ্ভাবন করতে হবে।
বাকৃবির গবেষক প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা জানান, বাংলাদেশে প্রথম লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের ৪৫৪.৬২ এমবিপি ডিএনএ অনুর বিন্যাস নির্ধারণ ও গামা রেডিয়েশন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট ডিএনএ ভেরিয়েশনগুলো শণাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আরোপিত রেডিয়েশনের ফলে ধানে পরিবর্তিত প্রোটিন কোডিং জিন, বিভিন্ন ধরনের আরএনএ এবং কিছু
অশনাক্তকৃত অঞ্চল শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মিউট্যান্ট লাইনে প্রতিকূল আবহাওয়া সহিষ্ণু ২৩টি জিনে সর্বাপেক্ষা অধিক প্রভাব বিস্তারকারী মিউটেশনের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
অপরদিকে অন্য একটি মিউট্যান্ট লাইনে উচ্চফলনশীল বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী সর্বোচ্চ ১৬টি জিন এবং চালের আকার-আকৃতি সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্যের জন্য আরও ৪টি জিন শনাক্ত করা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বিনার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।