মোঃলিটন মাহমুদ মুন্সীগঞ্জ ঃ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার রিকাবী বাজার ,মিরকাদিম বাজার ,নগরকসবা দেখা গেলো লেপ -তোসক তৈয়ারী করার প্রতিটি দোকানে প্রচন্ড ভীর ।
শীত আসছে। দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা। আর ভোরে শীতল সিগ্ধ বাতাস। সাত-সকালে ঘাস-পাতার ওপর জমে থাকা শিশির কণা জানিয়ে দেয় শীতের আগমনী বার্তা। শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে মুন্সীগঞ্জ জেলার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী কারিগরদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী দোকানিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। একই সঙ্গে গ্রামের বিভিন্ন পরিবারে পড়ে গেছে কাঁথা সেলাইয়ের ধুম।
লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মালিক-শ্রমিক, ধুনকাররা এখন তুলাধোনায়, লেপ-তোষক তৈরির সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তারা জানান, শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিয়ে রেখেছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীরহাট,মিরকাদিম বাজার,রিকাবী বাজার ও নগর কসবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, ভালো মুনাফা এবং বেশি বিক্রির আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
ক্রেতারাও লেপ-তোষক তৈরির জন্য ভিড় করছেন। শহর সহ উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজে শতাধিক ব্যবসায়ী নিয়োজিত রয়েছেন। তবে এবার তুলার দাম অনেক বেশি।
কালার তুলা প্রতিকেজি ৪০ টাকা, মিশালী তুলা ২৫ টাকা, সিম্পল তুলা ১০০ টাকা, শিমুল তুলা ৪০০ টাকা ও সাদা তুলা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি হয় বেশি। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০০ থেকে ১৫০ টির বেশি লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের কারিকররা এখন খুবই কর্মব্যস্ত।
মিরকাদিম বাজারের রিদয় বেডিং হাউজের মালিক মোঃনজুল ইসলাম নজু জানান, সময়মতো লেপ-তোষক ডেলিভারি দেয়ার জন্য তারা এখন ব্যতিব্যস্ত।
সারা বছরের মধ্যে এ শীত মৌসুমেই তারা কাজের বেশি অর্ডার পান। ফলে এ সময় তাদের কাজ বেশি করতে হয়। এক মৌসুমের আয় দিয়েই তাদের পুরো বছর চলতে হয়।
রিকাবী বাজার বেডিং হাউজের মালিক মোঃলোকমান দেওয়ান জানান, কাপড়ের মান বুঝে লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। তারা ৪-৫ হাত লেপের দাম পড়ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর তোষক তৈরিতে দাম পড়ছে ১ হাজার থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর লেপ-তোষকের দাম একটু বেশি পড়বে। কেননা এ বছর কাপড় ও তুলা বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে।
লেপের কারিগর শ্রী নারায়ন পাল জানান, শীত শুরু হতে না হতেই তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। তারা ৪-৫ হাতের একটি লেপ ২ ঘণ্টায় তৈরি করে দিতে পারেন। লেপ-তোষকের দোকানের মালিকরা আরও জানান, শীত মৌসুমে প্রত্যেকটি দোকানে ২ শতাধিক লেপ-তোষক ও জাজিম কেনা-বেচা হয়।
নগর কসবা গ্রামের গ্রামের মিসেস আলো জানান, শহরের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কাছে কাঁথা সেলাই করে দেয়ার জন্য কাপড় সরবরাহ করেন।