১০ জানুয়ারী ছিল আমার জন্মদিন।
যদিও জ্ঞান হওয়ার পর কখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জন্মদিন পালন করেছি কবে তা জানা নেই।
নিরবে নিভৃতে কেটে গেছে সে দিন গুলো। সেই বসন্ত।
আজ ও চেয়েছিলাম প্রতি বছরের ন্যায় দিনটিকে নিরবে নিভৃতে অতিবাহিত করবো। সাথে একান্ত কাছের এক বন্ধুকে নিয়ে জরুরী কিছু কাজ সেরে নিবো। দিনভর তার সেলুলার ফোনটি বন্ধ থাকায় হতাশার গ্লানি ছিলতো বটে!
জীবন থেকে চলে যাওয়ার আয়ুকালে চাওয়া পাওয়ার হিসেবে কিছু যোগ করতে পেরেছি কিনা তা জানিনা। তবে সুন্দর এই পৃথিবীতে বেচে থাকার মাঝে আল্লাহর দেওয়া আয়ুকাল বিয়োগ হচ্ছে এটা নিশ্চিত।
বাবাকে প্রতিমূহুর্তের মত আজ ও ভড্ড মনে পরে।
মায়ের আর্শিবাদ প্রতিনিয়ত সাথে নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় এই ধরনীতে এখন ও নি:শ্বাস নিতে পারছি।
আমার জন্মদিনে আমার সহপাঠী, সংবাদকর্মী ভাই বোন,বন্ধু ও শুভাকাঙ্খি আত্নীয় স্বজন বিভিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছেন সকলের প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা।
তবে পর্দার অন্তরালে থেকে বোন শারমীন সুলতানা মিতু ও জান্নাতুল ফেরদাউস বিথীর জনাকীর্ণ আয়োজন আমাকে মনে করিয়ে দিলো বোনের ভালবাসা। কেক এনে আমাকে জরুরী কাজের বায়নায় ডেকে নিয়ে কেক সামনে এনে হাজির।
কি আর করা?
বন্ধুর শুন্যতার গ্লানির মাঝে বোন বিথীর একমাত্র ছেলে ভাগিনা আদরকে নিয়ে সাথে আমার স্নেহের অনুজ মানুষের কল্যানে প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক কবির নেওয়াজ রাজ এর উপস্হিতিতে দিনটিকে স্বরনীয় করে রেখে উদযাপন করলাম জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা।
ধন্যবাদ দিয়ে বোন তোমাদের ছোট করবো না।তোমরা ভালো থেকো সুখে থাকো দোয়া রইলো। বন্ধন থাকুক অটুট।
চলার পথে ভুল টুকু মার্জনীয়,অপরাধ টুকু ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখার প্রত্যাশায় কারো উপকার করতে না পারি আমাকে দিয়ে যেন ক্ষতি না হয় সেই দোয়া প্রত্যাশা করি।