রাজধানীর গুলশানস্থ ভাটারা থানার রহস্যময় এক ভবনকে পুঁজি করে বারবারই প্রতারকা বহু মানুষের সর্বনাশ ঘটিয়ে চলছে। ভবনটির নাম রাণী প্লাজা, অবস্থান ক-১১/২ জগন্নাথপুরে। এর আগে গোল্ড স্মাগলিংয়ের আখড়া বানিয়ে অনেকের সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে এ ভবনেই। বহুল বিতর্কিত হেভেনটাচও ছিল এ রাণী প্লাজাতেই। সবশেষে এখান বসেই ডিলার নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নির্বিঘ্নে চম্পট দিয়েছে প্রতারক হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগিরা। বরাবরই ভবন মালিকের রহস্যময় ভূমিকা থাকার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগিরা।
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার পাইকের চরা এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তার বাবার নাম পনির উদ্দিন, মা হচ্ছেন সাফিয়া খাতুন। অজপাড়া গাঁয়ের যুবক হাবিবুর রহমান নিজেকে ইলেকট্রিক পণ্যের আমদানিকারক পরিচয়ে সারাদেশে ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেন নামিদামি পত্রিকায়। অফিস নেন বারিধারার ক-১১/২ জগন্নাথপুরস্থ আলিশান ভবনে। পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখে বিশাল বাণিজ্যের হাতছানিতে হুড়মুড় করে হাজির হন শত শত মানুষ। ১০-১৫-২০ লাখ টাকা জামানত দিয়ে পাকা ডকুমেন্ট নিয়ে যার যার এলাকায় ফিরে যান সদ্য নিযুক্ত ডিলাররা। গুদাম ভাড়া নিয়ে, শোরুম সাজিয়ে অপেক্ষায় থাকেন পণ্য সরবরাহ পাওয়ার। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না আর। মাত্র দুই মাসের মধ্যেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হন হাবিবুর রহমান ও তার প্রতারক সহযোগিরা। নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে প্রতারকের অফিস ভবনটিতে হাজির হন। দেখেন গোটা অফিসটাই তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। ভবন মালিকেরও লা জবাবে দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগিরা।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে জানান, ভাটারা থানাভুক্ত বারিধারার ক-১১/২ জগন্নাথপুরস্থ ভবনটি নানা প্রতারণার আখড়াস্থলে পরিনত। এর আগে বহু লোকের সর্বনাশ ঘটানো গোল্ড স্মাগলিংয়ের প্রধান কার্যালয়টিও গড়ে ওঠেছিল এ ভবনে। অজ্ঞাত ক্ষমতাধারী ভবন মালিক বরাবরই প্রতারক সিন্ডিকেটগুলোকে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যসূত্রঃ দেশপত্র