জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে থাকতে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির নিয়োগ
পরিক্ষার ডিপিসির সদস্য থাকাকালে ড্রাইভার নিয়োগের
মৌখিক পরীক্ষায় এসে অনেক ড্রাইভার জানাতো BRTA
অফিস এখনো তাদের লাইসেন্স দেয় নি, কেউ আবার জানাতো নবায়ন করতে দিয়েছে কিন্তু লাইসেন্স পায় নি। বিশ্বাস করতাম না। মাঠ প্রশাসনে থাকাকালে এমন অবস্থায়
ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জরিমানা করে দিতাম। লাইসেন্স নেই জরিমানা হবেই। লাইসেন্স না থাকার বাস্তবতা ভিন্ন তা এখন উপলব্ধি করি।
আমার ড্রাইভার অনুরোধ করতো -তার লাইসেন্স নবায়ন যাতে দ্রুত হয়। খুব সহজেই বলতাম- BRTA অফিসে চলে যান, লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। ড্রাইভার জানাতো, তারা অনেক কথা বলতো, সেগুলো সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে লিখতে চাই না।
মিরপুর BRTA অফিসে লাইসেন্স নবায়নের জন্য দিলাম-
২০২০ গেলো, ২০২১ শেষ হলো, ২০২২ও একসময় শেষ হবে। আমি এখনো ডিজিটাল লাইসেন্স পেলাম না। গেলেই
তারা কি যেন বলতে চায়, কিন্তু আমি বুঝতে পারি না। আজ গেলাম, আবার সিল দিয়ে দিলো ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২!!! এভাবে ৩ বছরে চারবার লম্বা তারিখ দেয়া হলো। দেশের নাগরিক হিসেবে নবায়নের জন্য সরকারি ফিস জমা দিয়েছি। কিন্তু সেবার নমুনা আশাপ্রদ নয়। ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে!!
এতদিন ড্রাইভাররা তাহলে সত্যি কথা বলেছে। এ অফিসের সেবার মান বাড়াতেই হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
লেখকঃ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং অফিসার্স’ ক্লাব ঢাকা এর কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন এর ফেসবুক থেকে